• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জাজিরায় পুলিশের থাপ্পড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৩

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার আনন্দবাজারে পাভেল সেখ (২১) নামে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রের পুলিশের থাপ্পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদ জুমা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে পুলিশ থাপ্পড়ের কথা অস্বীকার করেছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে জাজিরা থানার ওসি মোঃ বেলায়েত হোসেন ও তার বডিগার্ড জাকির হোসেন এবং গাড়ি চালক লক্ষণচন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে নাওডোবা এলাকায় টহলে যাওয়ার পথে বিকেনগর ইউনিয়নের আনন্দবাজারে পূর্বকাজিকান্দি গ্রামের আঃ রউফ শেখ এর ছেলে চান্দেরচর নুরুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্র পাভেল সেখ ও তার চাচাত ভাই শান্তকে সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী মনে করে পুলিশ শরীর তল্লাশি করে। এ সময় পুলিশের বডিগার্ড জাকির হোসেন পাভেল এর পকেটে হাত দিতে চাইলে পাভেল নিষেধ করে। এ সময় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে পাভেলকে জোরে থাপ্পর মারে। এতে তার কান দিয়ে রক্ত ঝড়ে। ঘটনাস্থলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় পার্শ্ববতী মা মেডিসিন কর্নার ওষুধের দোকানে নিয়ে যায়। এ সময় ওষুধ ব্যবসায়ী আইউব আলী রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার পুলিশ প্রহরায় নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার বাদ জুমা লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পুলিশের ভয়ে পরিবার কোনও মামলা করতে সাহস পায়নি।

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ফরিদপুরে ২৫ দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা
-------------------------------------------------------

তবে পুলিশ বলছে, তাকে চড় থাপ্পড় মারা হয়নি। সে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

এ ব্যাপারে নিহতের চাচাত ভাই শান্ত বলেন, আমি ও পাভেল আনন্দবাজারে সন্ধ্যায় আমাদের বন্ধু হৃদয় এর কাছে পাসপোর্ট আনতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর পুলিশ আমাদেরকে দেখে শরীর তল্লাশি করে। এক পর্যায়ে পাভেলের পকেটে হাত দিতে গেলে পাভেল নিষেধ করে। এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওকে চড়-থাপ্পড় মারে। এতে তার কান দিয়ে রক্ত ঝড়ে। সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত পাভেলের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ভালো ছেলে বাড়ি থেকে আনন্দবাজার যায়। সেখানে তাকে পুলিশ ধরে মারপিট করে। এতে তার কান দিয়ে রক্ত ঝড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়। আমার ছেলে হত্যাকারী পুলিশের বিচার চাই।

নিহতের বাবা আঃ রউফ সেখ বলেন, আমার ছেলের মৃত্যু নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে পারব না। আমি অসুস্থ।

জাজিরা থানার ওসি মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি টহলে যাওয়ার সময় আনন্দবাজারে দুই যুবককে হঠাৎ গলির মধ্যে চলে যেতে দেখে মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহ করে পুলিশ পাঠাই। পুলিশ তাদের শরীর তল্লাশি করতে গেলে সে পকেটে হাত দিতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুনে আমি নিজেই সেখানে যাই। গিয়ে দেখি পাভেল নামের যুবক শরীর খিচুনি দিয়ে পড়ে যায়। একটু পরে ওর বাবা এলে তার সহায়তায় আমরা পার্শ্ববতী ওষুধের দোকানে নিয়ে যাই। সেখানে তার বাবা তাকে মৃগী রোগী বলে চামড়ার জুতা নাকের সামনে ধরে। এতেও তার কোনও পরিবর্তন না দেখে তাকে জাজিরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা তাকে কোনও প্রকার মারপিট বা চড় থাপ্পড় দেইনি।

আরও পড়ুন :

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদের সকালে পুড়ে ছাই ২৫ দোকান
আল জাজিরা নিষিদ্ধে ইসরায়েলে আইন পাস
জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু
কীর্তিনাশা নদীতে মিলল দিনমজুরের মরদেহ
X
Fresh