• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রাজবাড়ীতে পদ্মার পানির নিচে ২৭ গ্রাম, পৌঁছায়নি সহায়তা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

  ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:০৩

রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে ইতোমধ্যে কালুখালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার রতনদিয়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামে প্রবেশ করেছে পদ্মার পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব গ্রামে বসবাসরত প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তবে তাদের হাতে এখনও কোনও সহযোগিতা পৌঁছেনি বলে জানা গেছে।

বন্যাকবলিতরা জানান, বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাবার স্যালাইন ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে দিন পার করছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। গৃহপালিত গরু ছাগলের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়ার চর, লক্সরদিয়া, নারায়ণপুর, সাবারে পাড়া, পশ্চিম হরিণবাড়িয়া, কৃষ্ণ নগর, ভবানিপুর, ভাগলপুর, হরিণাডাঙ্গা, বল্লভপুর, বিজয়নগর, আলোকদিয়া, কলসতলা, রামনগর, খাপুড়ে, কাশিনাথপুর, বহর কালুখালী, কামিয়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নের সাতটা, উত্তর কালুখালী, মাঠ কালুখালী, ঠাকুড় পাড়া, পাড়া বেলগাছী, পুরাতন কালুখালীসহ প্রায় ২৭টি গ্রাম এখন প্লাবিত।

এদিকে এসব এলাকায় সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নারী ও শিশুরা।

নারায়ণপুর গ্রামের মো. আবদুল্লাহ বলেন, প্রায় ২৫ দিন ধরে এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় বসবাস করছে। বাড়ির পুরুষেরা সাপের ভয়ে পাহারা দিচ্ছে। খাবারের অভাবে আমরা খুব কষ্টে বেঁচে আছি। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারি কোনও ধরনের সাহায্য পাইনি।

জাফর শেখ বলেন, অনেক দিন ধরে আমরা হাজার হাজার মানুষ বন্যার পানিতে তলিয়ে আছি। কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। কোনও সাহায্য দেয়নি।

আরও পড়ুন : ব্র‏হ্মপুত্র নদে নৌকাডুবে ভাইবোনসহ নিহত ৩

আলোকদিয়া গ্রামের মো. শহীদ বয়াতী বলেন, আমরা বাচ্চাদের এখন নিরাপদে রাখতে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। বড়রা কষ্ট করেই পানির মধ্যেই আছি। বাড়িতে থাকা গরু ছাগলের খাবার নেই। বাড়িতে কোনও ধরনের রান্নার ব্যবস্থা নেই।

কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বিল্লাল হোসেন জানান, গত এক মাস যাবত পদ্মার চরাঞ্চলে ভাঙনের পাশাপাশি গেল সাতদিন ধরে কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ও রতনদিয়া ইউনিয়নের অনেক গ্রাম পদ্মার পানিতে প্লাবিত। এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কোনও ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয় নাই। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, আমাদের এই নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের ২ কেজি চালের দরকার নাই। অবিলম্বে নদী ভাঙন ঠেকাতে হবে। আমরা চাল আর বিস্কুটের সান্ত্বনার আশ্বাস চাই না।

কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাচিনা পারভিন নিলুফা আরটিভি অনলাইনকে জানান, পানিবন্দি এলাকার মানুষগুলো খুব অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। অনেককে সাপে কাটছে। প্রসূতি মায়েরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত। শিশুরা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো বিক্রয় করতে পারছেন না। তাই কালুখালীর নদী ভাঙন ঠেকাতে নদীর বাঁধ বিশেষ প্রয়োজন। আর পানিবন্দি মানুষের সেবায় সহযোগিতা প্রদানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বন্যা এবং ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা ৩৬ টন জিআর চাল বরাদ্দ পেয়েছি। রতনদিয়া ইউনিয়নের এক হাজার এবং কালিকাপুর ইউনিয়নের ৫শ’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। শিগগিরই এসব পরিবারপ্রতি ২০ কেজি করে চাল ও ঘর নির্মাণের জন্য টিন দেয়া হবে।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদে দৌলতদিয়া-পটুরিয়া নৌরুটে চলবে ২০ লঞ্চ ও ১৫ ফেরি
দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে : রেলমন্ত্রী
হেঁটে পদ্মাসেতুর রূপ উপভোগ করলেন ভুটানের রাজা
তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে
X
Fresh