চতুর্থ শ্রেণির মেয়েকেও বসতে হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে বাল্যবিয়ে। জন্ম রেজিস্টার এবং উপযুক্ত বয়স না হলে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করছেন না কাজীরা। তাই আইনে না গিয়ে শুধু ধর্মীয় নিয়ম মেনেই পড়ানো হচ্ছে এসব বিয়ে।
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের শিলখুড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মিনারা খাতুন ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নীলামনি। অনিচ্ছাসত্বেও শৈশব থেকে কৈশোরে পৌঁছানোর আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে কোমলমতি এ শিশুরা।
মিনারা ও নীলার মতো এভাবেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার ২৬৯ চরাঞ্চলের অধিকাংশ শিশুর।
সামাজিক অসচেতনতা ও আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকেই গোপনে এসব বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করছেন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী প্রতিবছর জেলায় ৭২ ভাগ শিশু বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে।
বাল্যবিবাহ বন্ধে একটি স্থায়ী প্রকল্প নেয়ার কথা জানালেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ নুরুল আমিন। বললেন, বাল্যবিয়ে বন্ধে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা মনে করেন, সরকারিভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য দূর করতে পদক্ষেপ নিলে বাল্যবিয়ে অনেকটাই কমবে।
এম
মন্তব্য করুন