লোকসানের শঙ্কায় মিয়ানমার থেকে পশু আমদানিতে ধীরগতি
ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে এ আমদানি ধীরগতিতে হচ্ছে। আবহাওয়া প্রতিকূল ও বাজারে গরুর মূল্য না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে এসব গরু-মহিষ ঢুকছে। গেলো জুলাই মাসে ছয় হাজারের বেশি গবাদি পশু এসেছে। তবে জুলাই মাসের তুলনায় জুন মাসে দিগুণের বেশি গবাদি পশু আমদানি হয়েছিল। আমদানিকৃত পশুর উচ্চমূল্য না পাওয়ায় ও আবহাওয়াজনিত কারণে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে গরু আমাদানিতে আগ্রহ হারাতে বসেছেন। তবে আসন্ন কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে আমদানি বৃদ্ধি ও নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রংপুরে ১০ শিক্ষার্থীকে আটকের অভিযোগ
-------------------------------------------------------
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেলো জুন মাসে ১২ হাজার সাতশ’ ৪০টি গরু, দুই হাজার তিনশ’ ৭২টি মহিষ আমদানির ফলে পৌনে এক কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। গেলো জুলাই মাসে তা কমে চার হাজার ছয়শ’ একটি গরু, এক হাজার পাঁচশ’ পাঁচটি মহিষ ৩০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এক মাসের ব্যবধানে পশুর মূল্য কমে যাওয়ায় আমদানি তুলনামূলকভাবে কমে যায়। ভারত থেকে পশু আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে পশুর দাম কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কায় আপাতত মিয়ানমার হতে পশু আমদানিও কমে গিয়েছে।