হকারের পেটে এএসপির লাথি
ভৈরব শহরের সার্কেল অফিসের সামনে বসার অপরাধে সাদেক মিয়া নামে এক হকারকে পেটে লাথি মেরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এএসপি মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর সাদেক মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
হকার সাদেক মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা জানান, শহরের পলতাকান্দা এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তারা বসবাস করছেন। পাঁচ সন্তানের জনক সাদেক মিয়া। তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরের বাজার মহল্লায়। সাদেক মিয়ার বয়স প্রায় পঞ্চাশের ওপরে। ফলে শ্বাসকষ্ট ও হার্ট দুর্বলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন তিনি। পেশায় তিনি একজন হকার।
সোমবার দুপুরে আমের ভর্তা নিয়ে সার্কেল অফিসের সামনে বসার অপরাধে হকার সাদেক মিয়ার পেটে সার্কেল এএসপি মো. কামরুল ইসলাম সজোরে লাথি মেরে ফেলে দেন। পরে সাদেক মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ভৈরব সার্কেল এএসপি মো. কামরুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, আমি তাকে অফিসের সামনে বসতে নিষেধ করেছি। কিন্তু লাথিতো দূরের কথা তার শরীরও স্পর্শ করেনি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : তিন সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে ইসলামী আন্দোলন
--------------------------------------------------------
এদিকে খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলাম হকার সাদেক মিয়াকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন