নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র পায়েল হত্যার বর্ণনা দিলেন বাসচালক
রাজধানী ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. সাইদুর রহমান পায়েল(২০) হত্যার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন হানিফ পরিবহনের চালক জামাল হোসেন(৩৫)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুশপতি বিশ্বাস।
জামাল হোসেন জানান, মহাসড়কের গজারিয়া থানার ভাটেরচর সেতুর পাশে বাসটি ভোররাতে জ্যামে পড়লে সাইদুর রহমান পায়েল তার মোবাইল ফোন বাসের সিটে রেখে নিচে নামেন। জ্যাম ছাড়ার পর গাড়ি চলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে বাসে উঠতে গিয়ে ধাক্কা লেগে অজ্ঞান হয়ে যান। তখন তাকে মৃত ভেবে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
আদালতের বরাত দিয়ে এসব কথা জানান গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
এর আগে এদিন দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গজারিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মামুন আল রশিদ জানান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র পায়েল। তিনি চট্টগ্রামের হালিশহরের গোলাম মাওলার ছেলে। শনিবার রাতে বন্ধু আদর ও শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
তিনি বলেন, পথে ভোর চারটার দিকে গজারিয়া থানার ভাটেরচর এলাকায় জ্যামে আটকে পড়া গাড়ি থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নামেন তিনি। তখন তার দুই বন্ধু ঘুমিয়ে ছিলেন। জ্যাম ছাড়ার পর গাড়ি চলতে শুরু করলে পায়েল দ্রুত বাসে উঠতে গিয়ে ধাক্কা লেগে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তখন তাকে মৃত ভেবে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সকালে ভাটেরচর সেতুর পাশে নদীতে অজ্ঞাত একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরিচয় নিশ্চিত হয়।
গত বুধবার বিকেলে মামলার প্রধান আসামি হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার মো. জনি(৩৮) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তবে আরেক আসামি হেলপার ফয়সাল হোসেন(৩০) এখনও ঘটনার দায় স্বীকার করেননি। তিনি চালক জামালের ছোট ভাই।
সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ফয়সালকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরবর্তী কর্মদিবসে তার রিমান্ড শুনানি হবে। বর্তমানে তিন আসামিকেই মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে।
কে/ এমকে
মন্তব্য করুন