ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফের সক্রিয় ডাকাত-ছিনতাইকারী (ভিডিও)
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ডাকাত-ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। বিশেষ করে ফেনীর লালপুল থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা পর্যন্ত সাতটি পয়েন্টে নানা কৌশলে যানবাহনে ডাকাতি করে তারা। গত দু'বছরে র্যাবের অভিযানের মুখে কিছুটা কমলেও ডাকাতি বন্ধ হয়নি। তবে ডাকাতি প্রতিরোধে টহল জোরদারের পাশাপাশি আকস্মিক চেকপোস্ট বসানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের চারটি অংশে তাদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। ডাকাতদের প্রধান টার্গেট শিল্পপণ্য বোঝাই ট্রাক-কাভার্ডভ্যান। এ নিয়ে উদ্বেগে আছে ব্যবসায়ীরা।
দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দিনে-রাতে ৪০ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। এ মহাসড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে সক্রিয় বেশ কয়েকটি ডাকাত চক্রের অপতৎপরতা।
ওই রোডে গাড়ি চালকরা জানান, ঢাকা মহাসড়কে যখন যানজট বাড়ে তখনই এ ধরনের ছিনতাই ডাকাতি তৎপরতা বেড়ে যায়। গাড়ি চালকদের কাজ থেকে সাধারণত মোবাইল টাকা পয়সা ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা। এ নিয়ে আতঙ্কে আছি আমরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কাফাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
--------------------------------------------------------
তারা আরও জানান, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা না বাড়ানো হলে এই সমস্যা দূর হবে না। ছিনতাইকারী বা ডাকাতরা আরও সাহসী হয়ে উঠবে।
প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মহাসড়কের, চট্টগ্রাম অংশ দেড়’শ কিলোমিটারেরও বেশি। এর মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের ফাঁড়ি রয়েছে মাত্র তিনটি। গত ৫ জুন সীতাকুণ্ডে বাড়বকুন্ড এলাকায় ডাকাত দল অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে, গাড়িতে থাকা রোগীর মেয়ে ও স্বজনদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার এবং চিকিৎসার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী বারেয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন বলেন, দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে তারা সাধারণ মানুষের নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু তা নয় শারীরিকভাবেও নির্যাতন করে।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজামান বিপিএম, পিপিএম বলেন, জনগণের চলাচল সুগম ও নিরাপদে পণ্য মালামাল সরবরাহে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডের কুমিরায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় সেলিম নামে এক ডাকাত। এর আগে একইভাবে ২০১৬ সালের ১৮ই নভেম্বর ফেনীতে দু’জন, ২৯ শে অক্টোবর মিরসরাইয়ে তিনজন এবং ১৮ই এপ্রিল জোরারগঞ্জে দুইজন ডাকাত মারা যায়।
আরও পড়ুন :
এমসি/এসএস
মন্তব্য করুন