ঝালকাঠিতে বাঁধ না থাকায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে আমাবস্যার জোয়ারের প্রভাব ও দুদিন ধরে ভারি বর্ষণে নিন্মাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও জোয়ারের প্রভাবে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া ও রাজাপুরের বিষখালী নদীর বাঁধ না থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার চার উপজেলার শত শত হেক্টর আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী ঝালকাঠি শহরের পূর্বচাঁদকাঠী, নতুন কলাবাগান, কলেজ খেয়াঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকা, নলছিটির উপজেলার নাচমহল, ভবানিপুর, হদুয়া, ইসলামপুর, তেতুলবাড়িয়া, মালিপুর, দপদপিয়া, খোজাখালী, কুমারখালী এবং বিষখালী তীরবর্তী রাজাপুরের বড়ইয়া, কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া, আমুয়া, পাটিখালঘাটা গ্রামসহ শতাধিক গ্রামের কমপক্ষে হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কৃষকরা জানান, দক্ষিণ বড়ইয়া ও দক্ষিণ পালট গ্রামের বাঁধ না থাকায় রোপা আমন ও আমনের বীজতলাসহ কৃষি জমি নিমজ্জিত রয়েছে। আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর
--------------------------------------------------------
পূর্বচাঁদকাঠী গ্রামের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, দুদিন ধরে আমাদের ঘরে পানি। রান্না করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে খেতে পারছি না। দিনের বেলায় জোয়ারের যে পানি উঠে তার চেয়ে রাতে অনেক বেশি পানি হয়। ভয়ে ঘুমাতেও পারি না।
রাজাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী আব্দুস ছালাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, জোয়ারের পানি জমে থাকলে সদ্য রোপিত বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীর প্রায় ৪০ কি. মি. বাঁধ না থাকায় দুই হাজার ৪০০ শত হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে জোয়ারে পানি উঠলেও তা আবার ভাটায় নেমে যায়। পানি স্থায়ী না হলে কৃষির কোনও ক্ষতি হবে না।
জেবি
মন্তব্য করুন