চাঁদপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকার নদী ভাঙন বন্ধ হচ্ছে না। মেঘনার প্রবল স্রোতে শহর রক্ষা সংরক্ষণ বাঁধের কংক্রিট ব্লক সরে যাওয়ায় ধস দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে একশ মিটার এলাকার ৭০ মিটার এলাকা দেবে গেছে। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে জরুরি ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছেন। দেবে যাওয়া স্থানে লাল পতাকা টানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
অনেকে তাদের সহায় সম্বল ঘর থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত শহর রক্ষা সংরক্ষণ বাঁধে কোনও সংস্কার না করায় এ ভাঙনের কারণ বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
এখনই শহর রক্ষা সংরক্ষণ বাঁধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে আসন্ন বন্যায় মেঘনায় বাঁধ ভেঙে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘর বিলীন হয়ে যাবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখানে কংক্রিট ব্লক সরে গিয়ে ৭০-৮০ ফুট গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। এসময় এলাকাবাসীর মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, ঘূর্ণিপাকে এখানকার অনেক ব্লক সরে গেছে এবং নদীতে ঠাঁই পাওয়া যাচ্ছে না। হরিসভার দক্ষিণে মাস্টার বাড়ি, সহদেব সাহার বাড়ি ও গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ির পেছনে শহর রক্ষার আরসিসির যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে সেখান থেকে নদীর অংশের কয়েক সারির ব্লক বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। ওপরের অংশে ব্লকগুলো আস্তে আস্তে নিচের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে। নদীতে তীব্র স্রোত বইছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান আরটিভি অনলাইনকে জানান, জরুরি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে জরুরি ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে রিজার্ভ কংক্রিট ব্লক ও বালু ভর্তি বস্তা ফেলার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে ডিজাইন করে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘর মেঘনায় বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত বাঁধ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন