• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

অনলাইন ডেস্ক
  ২৩ জুলাই ২০১৬, ১৪:৪৬

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে জামালপুর, কুড়িগ্রাম, ও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর ৫৭টি স্থানে পানি বৃদ্ধি এবং ২৯টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। পানিবন্দি, হয়েছেন লাখো মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বন্যা কবলিতরা।

জামালপুরে, গেলো ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ রয়েছেন, পানিবন্দি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫০ ও ধরলার পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সদর, চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, রাজিবপুর,রাজারহাট,নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলার ৪০ টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে।

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী ৫ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ৯৫ গ্রামের মানুষ। বিশুদ্ধ পানির অভাবে দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগ।

আগামী ৪৮ ঘন্টায় সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯০টি পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৫৭টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ২৯টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। একটি স্থানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ৩টি স্থানের তথ্য পাওয়া যায়নি। ৮টি স্থানে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh