• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এবার রনির পক্ষে সেই কোচিং মালিকের ‘স্বীকারোক্তি’র ভিডিও ভাইরাল

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

  ১২ জুলাই ২০১৮, ১৯:২৭

চট্টগ্রামের একটি কোচিং সেন্টারের মালিক মো. রাশেদ মিয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রাশেদ নিজের মুখে স্বীকার করছেন যে, রনি তার ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন। রনি তাকে সাড়ে নয় লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন।

এর কয়েকমাস আগে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি চড়-থাপ্পড় মারার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সংগঠন থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া চাঁদাবাজির মামলায় আসামি করা হয় রনিকে। গতকাল বুধবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে নুরুল আজিম রনির ফেসবুক টাইমলাইন থেকে রাশেদ মিয়ার ভিডিওগুলো আপলোড করা হয় ।

তবে এই ভিডিও আপলোডের পর রাশেদ মিয়া আরটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেছেন, রনির অনুসারীরা এক ছাত্রসহ তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে এই বক্তব্য প্রদানে বাধ্য করেছেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অপহৃত শিশু টাঙ্গাইলে উদ্ধার
--------------------------------------------------------

তবে ভিডিওতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিন নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কফিল উদ্দিনকেও রাশেদের সঙ্গে এই বিষয়ে সমঝোতামূলক কথা বলতে দেখা গেছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, রনির সঙ্গে মামলাসহ সামগ্রিক বিরোধ নিয়ে মধ্যস্থতার জন্য রাশেদ মিয়া নিজেই একজন বিশ্বস্ত কাউকে খুঁজছিলেন। শেষ পর্যন্ত সোহান নামের একজনকে নিয়ে আমার কাছে আসেন। এসে আমার কাছে রনির সঙ্গে সমঝোতা করে দিতে বলে। এসময় আমি রনির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। আমি উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলি। রনির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং তার সাড়ে নয় লাখ টাকা ফেরত দেয়ার ব্যাপারে রাশেদ সম্মত হন। এসময় রাশেদ বলে সব টাকা তো একসঙ্গে দিতে পারব না। এরপর আমি উভয়পক্ষকে মিলিয়ে দিলে তারা খুশি হয়ে চলে যায়। তবে রনি আমার বাসায় আসেনি।

অন্যদিকে, রনি ও তার অনুসারীরা বলেছেন, রাশেদ স্বেচ্ছায় মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার উপর কেউ চাপ প্রয়োগ করেনি।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়াকে নগরীর জিইসি মোড়ে তার অফিসে মারধরের একটি ভিডিও ১৯ এপ্রিল ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

রাশেদ মিয়া আরটিভি অনলাইনকে আরও বলেন, আমি এবং আমার এক ছাত্রকে গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নগরীর বায়েজিদে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে চারটি মোটরসাইকেলে এসে তুলে নেয়। প্রথমে আমাদের মুরাদপুরে বাদশাহ কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কফিল উদ্দিনের বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে রনির ছেলেরা চাপ প্রয়োগ করে ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পে মামলা প্রত্যাহারের কথা লিখে দিতে বাধ্য করেন। এসময় আমি ভয়ে কিছু কথা বলি, যেগুলো তারা ভিডিও করে ফেসবুকে প্রচার করছে।

নূরুল আজিম রনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন , এখানে যার বাসায় সমঝোতা হয়েছে তার বক্তব্য নিলেই বুঝতে পারবেন। সমঝোতার সময় এক ধরনের কথা বলছেন এখন আরেক ধরনের কথা বলছেন। সম্ভবত যারা তাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করতে বাধ্য করেছিলেন তাদের ভয়ে এখন সে অস্বীকার করছে।

আরও পড়ুন:

জেবি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পুলিশ ফাঁড়িতে এমপির বিরুদ্ধে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানোর অভিযোগ
কিশোরকে গাছে ঝুলিয়ে পেটানো সেই জামির গ্রেপ্তার
থানায় যুবককে পেটানোর অভিযোগে এসআই ক্লোজড
আব্দুর রাজ্জাককে পেটানোর হুমকি লতিফ সিদ্দিকীর, ভিডিও ভাইরাল
X
Fresh