নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগপূর্তি উৎসব নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আজ শনিবার দিনব্যাপী আবারও পালিত হলো যুগ পূর্তি উৎসব।
গেলো ৯ মে অনাড়ম্বরভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যুগ পালন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। বিতর্কের মুখে প্রশাসনের বক্তব্য ছিল শিক্ষার্থীরা চাইলে আবার উদযাপিত হবে যুগপূর্তি উৎসব।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ফের এক যুগপূর্তি উৎসব পালন হলেও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ চোখে পড়েনি। আজকের এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বন্ধের দিনে এক যুগ পূর্তি উৎসব পালনের কারণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। সেইসঙ্গে এই উৎসব নিয়ে প্রশাসন কোনও প্রচার-প্রচারণা করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ আমরা যে উৎসব দেখলাম তা এক যুগ পূর্তির অনুষ্ঠান মনে হয়নি। মনে হয়েছে পিকনিক স্পটে বাইরের মানুষ ঘুরতে এসেছে আর আমরা তা দেখছি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আসন না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে। অন্যদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অন্যান্য অনুষ্ঠানে আসনের ব্যবস্থা থাকলেও আজ কোনও ব্যবস্থা রাখেনি প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ গণমাধ্যমকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে এমনটা প্রত্যাশিত ছিল না। আজ আনন্দ শোভাযাত্রা, এমনকি অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত আসনেও আমরা বসতে পারিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও দেখা গেছে শোভাযাত্রার সময় দ্বিতীয় সারিতে।ব্যানারের সবটাই দখলে ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমাদের এই আয়োজন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে হয়েছে। তাই এমন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।পরবর্তীতে আনন্দ শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সকাল ১২টা ২০ মিনিটে গাহি সাম্যের গান মঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, গেস্ট অব অনার হিসেবে ইমেরিটাস প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। বিকেল থেকে একই মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা রয়েছে। যার সৌজন্যে আছে প্রাণ লাচ্ছি।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন