• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঢাকার সঙ্গে ফুলবাড়ীর দূরত্ব কমলো ১০০ কিলোমিটার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ০৩ জুন ২০১৮, ১৭:৩০

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর ওপর নির্মিত ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ধরলা সেতু আজ রোববার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ি ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার কমিয়ে দিয়েছে।

সেতুটি কুড়িগ্রামের এই তিন উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার প্রায় ১০ লাখ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে। এতে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বিশেষ করে বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরটি আরও সচল হবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই সেতু মঙ্গাকবলিত জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক দ্বার খুলে দেবে। এছাড়া চিকিৎসা, কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিভাগীয় শহর রংপুরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানও বাড়বে।

রোববার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সেতুর পূর্ব পাশে তৈরি করা মঞ্চে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি সেতুটিকে রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের মানুষের ঈদের উপহার হিসেবে ঘোষণা দেন।

২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর ওপর ৯৫০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার মধ্যবর্তী কুলাঘাট নামক স্থানে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।

সেতুটি নির্মাণে ২০১৪ সালে এলজিইডি সিম্প্লেক্স ও নাভানা কনস্ট্রাকশন গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি হয়। সেতুটির জন্য এলজিইডি ১৩ হাজার ৮৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত বছর ডিসেম্বরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

৯৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ডাবল লেন সেতুর প্রস্থ ৯ দশমিক ৮০ মিটার, ক্যারেজ ওয়ে ৭ দশমিক ৩০ মিটার ও সেতুর উভয় পাশের ১ মিটার চওড়া ফুটপাত রয়েছে। পিসি গার্ডার নির্মিত সেতুটিতে মোট স্প্যান রয়েছে ১৯টি। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার। ১৮টি পিলার ও ২৪০টি পাইল রয়েছে সেতুটিতে।

নৌ-চলাচলের জন্য ন্যূনতম নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়েছে ৭ দশমিক ৬২ মিটার। রাতে নিরাপদে চলাচলের জন্য সেতুটিতে বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। ২ হাজার ৯১৯ সংযোগ সড়কের মধ্যে কুড়িগ্রাম প্রান্তে ৮৯২ মিটার এবং লালমনিরহাট জেলা প্রান্তে ২ হাজার ২৭ মিটার।

এছাড়া উভয় জেলায় নদী শাসনের জন্য ফুলবাড়ী অংশে ১ হাজার ২৫৬ মিটার এবং লালমনিরহাট অংশে ২ হাজার ২৩৮ মিটার নদী শাসনের আওতায় আনা হয়েছে। এতে ফুলবাড়ী অংশে ১০ হাজার ৫৬৮ একর এবং লালমনিরহাট অংশে ৩ হাজার ৮৮ একর।

কে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী 
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh