স্কেলে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে পরিবহন চলাচল বন্ধের হুমকি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণের নামে স্কেলে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ করেছে আন্ত:জেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি। বিরাজমান পরিস্থিতিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে উল্লেখ করে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে পণ্য পরিবহণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থার নেতারা।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার আহ্বায়ক আলহাজ মো. নুরুল আবছার অভিযোগ করে বলেন, পণ্যবোঝাই ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের ওজন নিয়ন্ত্রণে সীতাকুন্ড ও দাউদকান্দিতে দুটি স্কেল বসানো রয়েছে। যার মধ্যে সীতাকুন্ডের স্কেলটিতে চালকদের হয়রানিসহ বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। এর ফলে পরিবহন মালিকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
পরিস্থিতির শিকার ট্রান্সপোর্ট মালিকরা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।অন্যথায় কঠোর কর্মসূচিতে যাবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিকরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : জুলাই মাসেই উদ্বোধন হবে ‘শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’
--------------------------------------------------------
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যৌথ সমিতির আহ্বায়ক মো. নুরুল আবছার।
যমুনা সেতুর মতো সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্কেল বসানোর আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক নুরুল আবছার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রম মহাসড়ক ছাড়া অন্য কোথাও এ সর্বনাশা স্কেল পদ্ধতি নেই। এ স্কেলটি দেশের পরিবহন বিভাগ ও জনগণের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রমের পরিবহন বিভাগকে হয়রানি ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ধ্বংসের জন্য এ স্কেল বসানো হয়েছে। স্কেলের কারণে প্রতিদিন মাইলের পর মাইল ম্যারাথন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, যানজটের কারণে একদিকে বন্দরে মালামাল খালাসের ওপর প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি আটকে থাকায় প্রচুর জ্বালানি তেল অপচয় হচ্ছে। চুরি-ডাকাতি বাড়ছে।
আরও পড়ুন :
জেবি
মন্তব্য করুন