• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে র‌্যাবের ৩২ দল

খুলনা প্রতিনিধি

  ১৪ মে ২০১৮, ১৯:৫৯

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তায় বিজিবির পর এবার দায়িত্ব পালনে মাঠে নেমেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র‌্যাব।

ভোটের আগের দিন সোমবার বিকেলে ৩২টি দল নিয়ে খুলনা নগরীতে টহলে নামে পুলিশের ‘এলিট ফোর্সের’ সদস্যরা।

খুলনা র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এই টহল শুরু হয়। বিকেলের পর থেকে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে টহল দিতে দেখা যায়।

জানতে চাইলে র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচনে র্যা বের ৩২টি দল দায়িত্ব পালন করছে। যার প্রতিটি টিমে আটজন সদস্য রয়েছে। এছাড়া চারটি স্টাইকিং ফোর্স থাকছে। এ টিমে ১০জন করে থাকবেন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বিদ্যুতের তার ছিড়ে ২ সহোদরের মৃত্যু
--------------------------------------------------------

খুলনায় এবার মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক, ধানের শীষ নিয়ে বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু, লাঙ্গল নিয়ে জাতীয় পার্টির শফিকুর রহমান মুশফিক, হাত পাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মুজ্জাম্মিল হক এবং কাস্তে নিয়ে সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু।

এছাড়া নগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ২৫৪টি এবং ৩৫টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার-ভিডিপি মিলিয়ে নয় হাজার সদস্য মাঠে থাকছেন। এর বাইরেও রয়েছে র‌্যাবের দল।

নির্বাচনের বিধিমালা লঙ্ঘনকারীদের জন্য ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে থাকছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আগের দিন নির্বাচনী এলাকায় মাঠে নেমেছে ১৬ প্লাটুন বিজিবি। রোববার থেকেই তারা টহল দিচ্ছে।

আলোচিত এই নির্বাচনে ভোট শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিবেল চারটা পর্যন্ত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এই ভোটে জাতীয় নির্বাচনের আবহ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে স্থানীয় সমস্যাগুলোর চেয়ে দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার জাতীয় পর্যায়ে বিতর্কগুলোই প্রধান হিসেবে উঠে এসেছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যে পাঁচ মহানগরে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে সবার আগে রায় দিতে যাচ্ছেন খুলনার ভোটাররা। একই দিন গাজীপুরে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদনের পর ভোটের তারিখ পিছিয়ে ২৬ জুনে গেছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের এই ভোটকে দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ হিসেবে দেখাতে চাইছে।

আরও পড়ুন :

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
প্রতীক পেয়েই প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা
‘সংসদ সদস্য কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না’
সুষ্ঠু ভোট করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বসবে ইসি
X
Fresh