• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সেবা করতে চাই বলেই কেঁদে ফেললেন খালেক

খুলনা প্রতিনিধি

  ১৪ মে ২০১৮, ১৮:৪৫

খুলনার মানুষের সঙ্গে আমার শেষ জীবন আমি থাকতে চাই। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আপনাদের সেবায় যেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে পারি। অশ্রু ভেজা নয়নে জনগণের কাছে শেষ বারের মতো ভোট চাইলেন খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।

সোমবার দুপুরে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি আর নির্বাচন করবো না ভেবেছি। আমার দল আমার নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সারাজীবন এ খুলনার উন্নতি করতে চাই।

খালেক বলেন, যে এলাকার সংসদ সদস্য ছিলাম আমি, মোংলা বন্দর এলাকা কত সুন্দর এলাকা। সেই এলাকা ছেড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন খুলনার উন্নয়নের জন্য।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রিমান্ড শেষে এমপি রানাকে কারাগারে পাঠালেন আদালত
--------------------------------------------------------

তিনি আরও বলেন, জনতা চায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সে পরিবেশই সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ জনতার রায়ে বিশ্বাস করে। ১৫ মে এর নির্বাচনে জনতার রায়ের প্রতিফলন ঘটবে।

খালেক বলেন, মঞ্জু ভোট বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করতে চান। জনতা এ ধরণের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা সবাই মামলার আসামি। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী ইতোমধ্যে নির্বাচনের ব্যালট পেপার, সিল, কালিসহ নির্বাচনী মালামাল স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের বুঝিয়ে দিয়েছে।

নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, বিজিবি, এপি ব্যাটালিয়ন ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। এর মধ্যে পুলিশের পাশাপাশি ১৬ প্লাটুন বিজিবি, সাড়ে ৪ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য, ৯শ’ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য, নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) কেন্দ্রে ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া পুলিশের ৭০টি টিম দায়িত্ব পালন করবে। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের টিমের সঙ্গে একটি করে পুলিশের টিম থাকছে। ৮টি মোটরসাইকেল টিম এবং ১১টি পিকেট টিম দায়িত্ব পালন করবে।

আরও পড়ুন :

এমসি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে : কাদের
আহত আ.লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে মারধর
হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু : কাদের
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে যা বললেন রিজভী
X
Fresh