• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নৌকা-ধানের শীষ প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, উত্তপ্ত খুলনা

খুলনা প্রতিনিধি

  ১৩ মে ২০১৮, ১৫:৫০

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগামী মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হবে। এবার দলীয় প্রতীকে এই ভোট হবে। এ উপলক্ষে রোববার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

তাই শেষ মুহূর্তে প্রচারে ব্যস্ত খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীসহ ৫ জন হলেও প্রচার-প্রচারণায় সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত শীর্ষ দুই দলের প্রার্থী। ভোটের পরিবেশ নিয়ে নৌকা-ধানের শীষের প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি বক্তব্য উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনীতিতে।

সামনে জাতীয় নির্বাচন। তাই নির্বাচনের আগে এই সিটি নির্বাচনের দিকে এখন সবার নজর। সবার কাছে এ নির্বাচন নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

এদিকে গাজীপুরের ভোট বিলম্বিত হওয়ায় খুলনা নিয়ে দুই দলের চাপেই থাকতে হচ্ছে কমিশনকে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করার পাশাপাশি ইসির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

অন্যদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সমান সুযোগ না পাওয়ার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে এমপি-মন্ত্রীরা প্রচারে নামতে না পারলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে আছেন।

অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছে, খুলনার পুলিশ কমিশনার তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।


রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগরীর মিয়াপাড়ায় নিজ বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয় করেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সেসময় তিনি বলেন, পুলিশের অতি উৎসাহী ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনকে ত্বরান্বিত করেছে। ওরা ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনে সবকিছুই ভেস্তে যেতে বসেছে।

তিনি বলেন, সরকার কেসিসির ভবিষ্যৎ নগর পিতা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। কেসিসি নির্বাচন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি পরীক্ষা হলেও ইতোমধ্যেই তারা ফেল করেছে। নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, টুটপাড়া, লবণচরা ও বানিয়াখামারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোট ডাকাতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চরমপন্থি-সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা এসব এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ধরে রাখা, ভোটের আগের রাতে বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নেতাকর্মীদের ওপর আরও কঠিন আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা মহানায়কের ভূমিকা পালন করছে। সরকার বিএনপিকে বাইরে রেখে এক দলীয় নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিএনপির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, বিএনপি নির্বাচনী মাঠ থেকে যেন সরে যায়, সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে প্রতিদিনই রুটিন কোরে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে তিনি নির্বাচনী প্রচার থেকেও সরে যান। পরে অবশ্য আবার ফিরেও আসেন।

মঞ্জু আরও বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের কোনো অভিযোগ নেই। হঠাৎ করে একদিন রাতে সারা শহরে ৭টি থানায় পুলিশ ব্লকরেড শুরু করে। সেসময় নেতাকর্মীদের বাড়ি তল্লাশি, ভাংচুর এবং পরিবারদের ভয় দেখানো হয়েছে। এটা স্বাভাবিক নয়।

তবে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কেবল তাদেরকেই আটক করছে। আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তার করেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যাদের নামে মামলা আছে পুলিশ তাদেরই গ্রেপ্তার করছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে। ১২ মে শনিবার রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের এলাকা ছাড়তে হবে। সংশ্লিষ্ট সিটির ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের ওপর নির্ধারিত সময়ের পরে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

অন্যদিকে রোববার থেকে চার দিন নিরাপত্তার চাদরে খুলনা।
ভোটের আগে দুই দিন, ভোটের দিন ও পরের দিন মিলিয়ে ১৩ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ নিয়মিত বাহিনীর সদস্যরা আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ২২-২৪ জন আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়ন নিয়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ১০টি টিম, র‌্যাবের ৩১টি টিম, বিজিবি থাকবে ১৬ প্লাটুন মাঠে থাকবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
খুলনায় ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব
ফেসবুকে লাইভের জেরে চাকরি গেল এসপির
ঘের থেকে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো কুমির উদ্ধার
অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
X
Fresh