• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

আরটিভি অনলাইনে খবর প্রকাশের পর আশ্রয় পেলো ওরা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

  ১২ মে ২০১৮, ১৭:৫৯

দেশের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল আরটিভি অনলাইনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অনাথ অসহায় তিনি শিশু আঁখি, আলো ও আরিফার পরিবারের অসহায় চিত্র নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সেই অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়ালো ঢাকার ছিন্নমূল কল্যাণ ফাউন্ডেশনসহ কালীগঞ্জের জনপ্রতিনিধি, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ।

শনিবার সকালে সেই অসহায় পরিবারটিকে নগদ অর্থ, নতুন পোশাক ও তিন শিশুর লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহনসহ নানান উপকরণ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

কালীগঞ্জ পৌর এলাকার পশু হাসপাতালপাড়ায় তিন শিশুর বাড়িতে শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরটিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধি শিপলু জামানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম আশরাফ। প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকার ছিন্নমূল কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সুমন হাসান।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সম্মানজনক চাকরি নিয়ে ভাবছে সরকার: মন্ত্রী
--------------------------------------------------------

এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছিন্নমূল কল্যাণ ফাউন্ডেশনর সুমন হাসান তিন শিশুর সার্বিক লেখাপড়ার ব্যয় বহন করার প্রতিশ্রুতি ও নতুন জামা-কাপড়সহ শিক্ষার উপকরণ প্রদান করেন। এছাড়াও শিশুদের মা নাজমা খাতুনের হাতে স্থানীয় পৌর প্যানেল মেয়র আশরাফ ব্যক্তিগতভাবে নগদ ৩ হাজার, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ২ হাজার, কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাব ও মহেশপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষে ২ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়।

কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি জামির হোসেনের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- কালীগঞ্জ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সাধারণ সম্পাদক সদর উদ্দিন, সভাপতি আনসার আলী মাস্টার, কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, নবচিত্রের উপদেষ্টা সম্পাদক মোস্তফা জলিল, থানার এসআই সম্বিত কুমার ও বৈশাখী টিভির সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু, মহেশপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী প্রমুখ।

পিতৃহীন শিশু আলো (৮), আরিফা (৬) ও আঁখির (৩) বাবা পুরান বই, কাগজ ফেরিওয়ালা আলম শেখ এক বছর আগে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারপর শিশুদের মা সংসারের হাল ধরেন। অন্যের বাসায় বাসায় কাজ করেন। আর বাজারের দশটি দোকানে তিন বেলা পানি সরবরাহ করেন। এতে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে মা-মেয়ের সংসার।

বর্তমানে পৌর এলাকার পশুহাসপাতাল পাড়ায় পরের জমিতে কোনোরকমে একটি টিনের ছাপড়া দিয়ে মা ও তার ৩ অনাথ শিশুকে নিয়ে অনেক কষ্টে বসবাস করছেন। তার মার ইচ্ছা শিশুদের পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করার। শিশুদেরও ইচ্ছা পড়াশুনা করে একদিন ডাক্তার হওয়ার; যেন বাবার মতো বিনা চিকিৎসায় পরিবারের আর কাউকে মরতে না হয়। কিন্তু এ সব কিছুর বড় বাধা দারিদ্র্য। অবশেষে কিছু ভালো মানুষের উদারতায় হার মানছে দারিদ্র্য, বেঁচে থাকছে আশা।

আরও পড়ুন :

এসএস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh