ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট ১শ’ কি.মি ছাড়িয়েছে, ভোগান্তি চরমে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গেলো কয়েক দিনের লাগাতার যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। ঢাকা থেকে ফেনী পৌঁছাতে বর্তমানে সময় লাগছে প্রায় ১৫-১৭ ঘণ্টারও বেশি।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ ১০০ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটে তৈরি হয়েছে দুর্ভোগ। ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় রেল ওভারপাস নির্মাণকাজ চলায় মহাসড়কের চার লেনের গাড়িগুলো চলতে হচ্ছে এক লেনে। যে কারণে মহাসড়কে উভয়মুখী স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে আজ শনিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, রাতদিন মহাসড়কে আটকা পড়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রী, চালকসহ পরিবহন শ্রমিকরা। যানজট এড়াতে কুমিল্লা দিয়ে লাকসাম-সোনাইমুড়ি-চৌমুহনী হয়ে মাঝেমাঝে কিছু যান চলাচল করলেও সেই সড়কেও যানজট ছড়িয়ে পড়েছে।
যানজটে আটকা পড়া কাঁচাপণ্য ব্যবসায়ী সুরুজ খান জানান, লাভ আসল সব শেষ। সব পণ্য পচে যাচ্ছে।
মুসলিম হোসেন নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা বলেন, আমি এমনিতেই অসুস্থ, বাসে উঠে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। খাবার-দাবার ও টয়লেটে খুব সমস্যা হচ্ছে। কোন দেশে বসবাস করছি।
কক্সবাজারে হানিমুনে যাচ্ছিলেন গৌতম রায় আর তার স্ত্রী সর্মীলা রায়। ঢাকা থেকে ১২ ঘণ্টায় ফেনী এসে পৌঁছান তারা। তিনি বলেন, শরীর পুরো অবস হয়ে গেছে। আগে জানলে হয়তো এমন উদ্যোগ নিতাম না। জানি না এমন কষ্ট আর কতক্ষণ সহ্য করতে হবে। আমার তেমন সমস্যা না হলেও আমার স্ত্রীর খুব সমস্যা হচ্ছে।
ফেনী জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মীর গোলাম ফারুক বলেন, ভয়াবহ এ যানজট পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। পুলিশ সারাক্ষণ রাস্তায় টহল দিচ্ছে।
চালক ও যাত্রীরা জানান, জ্যামে বসে থাকতে থাকতে সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। মালবাহী যান সময়মতো গন্তব্যে না পৌঁছানোয় নষ্ট হচ্ছে ভোগ্য পণ্য।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন