মৌলভীবাজারে অবাধে কেটে ফেলা হচ্ছে বনাঞ্চল
মৌলভীবাজারে অবাধে কেটে ফেলা হচ্ছে বনাঞ্চলের গাছপালা। খাস জমিতে তৈরি হচ্ছে ঘর-বাড়ি, আনারস ও লেবু বাগান। এতে কমে যাচ্ছে পশু-পাখি। লাউয়াছড়া বনে কিছুসংখ্যক বন্যপ্রাণি থাকলেও বন উজাড় করে রেললাইন, সড়ক ও বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করায় ঝুঁকিতে রয়েছে অবশিষ্ট বন্যপ্রাণিগুলো।
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া বনের ভেতর দিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি ট্রেন চলাচল করে। এছাড়াও এ বনের ভেতরে রয়েছে গাড়ি চলাচলের পাকা রাস্তা ও বিদ্যুতের লাইন।
বিপজ্জনক এসব জায়গা দিয়ে চলাচলের সময় গাড়ি চাপা পড়ে ও বিদ্যুৎ লাইনে লেগে প্রাণ হারায় বাঘ, হরিণ, সাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বন্যপ্রাণি।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান আরটিভিকে বলেন, সময় এসেছে পাকা রাস্তা ও রেললাইন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বাইরে দিয়ে নেয়ার। অথবা একটি বাইপাস করার। যাতে করে এই বনাঞ্চলের অবশিষ্ট প্রাণিগুলো রক্ষা পায়।
এ জেলার বেশিরভাগ জায়গার গাছ-পালা ও জঙ্গল কেটে উজাড় করায় হুমকিতে পড়েছে বন্যপ্রাণি। তাই এগুলো সংরক্ষণে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কান্তি দো আরটিভিকে বলেন, আমার আহ্বান থাকবে যে সমস্ত গ্রামগঞ্জে কিংবা আবাসিক এলাকায় জঙ্গল আছে সেগুলো যেন রক্ষা করা হয়।
শ্রীমঙ্গল বিজিবি’র কর্নেল মো. জাহিদ হোসেন আরটিভিকে বলেন, নাগরিক হিসেবে আমরা যে যেখানেই আছি, আমাদের সকলের দায়িত্ব বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও জাতীয় উদ্যান রক্ষা এবং বৃক্ষরোপণ রক্ষা।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব আরটিভিকে বলেন, দিন দিন গাছপালা কমে যাচ্ছে। বাইরে থেকে লোকজন এসে সরকারি জমিতে যে গাছগুলো ছিল সেগুলো কেটে ফেলেছে। এরপর চা বাগান দখল হয়েছে। এখন ধরছে লাউয়াছড়ার এই গাছপালাগুলোকে।
বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান স্থানীয় জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম।
তিনি আরটিভিকে বলেন, জীববৈচিত্র ও ইকোলজিক্যাল ব্যালেন্স রক্ষায় আমরা কাজ করে যাব।
এদিকে অবশিষ্ট বন্যপ্রাণি রক্ষায় দ্রুত সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ চান মৌলভীবাজারবাসী।
জেবি/জেএইচ
মন্তব্য করুন