• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মশা মারার বিষও লুটেপুটে খাওয়া হচ্ছে!

মো. পলাশ প্রধান, টঙ্গী

  ২৩ এপ্রিল ২০১৮, ১২:৫৫

মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ গাজীপুর মহানগরবাসী। বছরে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও তার কোনোরকম সুফল পায়নি নগরবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মিলেমিশে মশা মারার বিষের টাকাও ভাগবাটোয়ারা করে খাচ্ছে। তবে নির্বাচন আসলেই ভোটারের ঘরে ঘরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও উন্নয়নের আশার বার্তা দিয়ে আসেন প্রার্থীরা।

২০১৩ সালে ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয় সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুর। তিনশ’ ৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিশাল এলাকায় মশা নিধনের তেমন কোনো ব্যবস্থাই নেই।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : শিশুকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার অভিযোগ
--------------------------------------------------------

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অভিজাত বা বস্তি সব এলাকাতেই মশা আর মশা। রাতে তো বটেই দিনের বেলাতেও মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। খাতা কলমে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে রয়েছে ১৭১টি ফগার মেশিন, হস্তচালিত ১০০টি স্প্রেম্যান নিয়ে দুইশ’জন মশা নিধনে মাঠে থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে সারাবছরেও তাদের দেখা মিলে না। তাছাড়া জনগণের প্রশ্ন হচ্ছে ওষুধের মান ও কার্যকারিতা নিয়েও। গত বর্ষায় অ্যাডিস মশার উপদ্রবে চিকনগুনিয়া অনেকটা মহামারি পর্যায়ে পৌঁছায়।

টঙ্গীর নতুন বাজার ব্যাংক মাঠ বস্তি এলাকার ময়না বেগম (৫৫) আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গত পাচঁ মাস ধরে মশার উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে তার বাসায় মশার কয়েল, স্প্রে ও মশা মারার ব্যাট কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। তার নাতিন ও সন্তানকে সারাদিনই বিছানায় মশারির মধ্যে রাখতে হচ্ছে।

হোসেন মাকের্ট এলাকার মোহাম্মদ আলী আরটিভি অনলাইনকে জানান, দিনের বেলাতেও তিনি দোকানে কয়েল জ্বালিয়ে রাখেন। কিন্তু সন্ধ্যা হলে কয়েলেও আর কাজ হয় না। প্রায় সময় স্প্রে করি কিন্তু কোনো উপকারে আসে না।

এদিকে সিটি করপোরেশনের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন সরকার নিজ উদ্যোগে প্রতিদিন হস্তচালিত স্প্রেম্যান দিয়ে মশা নিধনের কাজ করছেন।

এখন টঙ্গীসহ গাজীপুরে যে কিউলেক্স মশার উৎপাত চলছে তাতে মারাত্মক কোনো রোগের ঝুঁকি না থাকলেও দুদিনের বৃষ্টিতে অ্যাডিস মশার উপদ্রব বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পারভেজ হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর মশাবাহিত রোগের পরিমাণ অনেক। আমরা এরইমধ্যে মশাবাহিত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রাহাতুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, চলতি অর্থবছরে মশা মারতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে বাজেট রাখা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। সিটি করপোরেশনের তিনটি ফগার মেশিন বিকল হওয়ায় মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন :

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাসাবাড়ি-অফিসে এডিস মশার লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা
ডিএনসিসি এলাকায় মশা নিধন ক্যাম্পেইন ২২ এপ্রিল
প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
অভিযান চালাতে গিয়ে মশার কবলে মন্ত্রী-মেয়র 
X
Fresh