রণির হাতে চড় খাওয়া রাশেদ কতদিন বাসা ছেড়ে থাকবেন?
ছাত্রলীগ নেতার হাতে চড় খাওয়ার পর কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়া নিরাপত্তা বোধ না করায় নিজ বাসা ছেড়ে পরিবার নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় আছেন।
শনিবার বিকেলে আরটিভি অনলাইনকে মো. রাশেদ জানিয়েছেন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলা হলেও ভয়ে আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
রাশেদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় মামলা করার পরপরই নুরুল আজিম রণি লোকজন নিয়ে তার কোচিং সেন্টারে যান। কোচিং সেন্টার ভাংচুর করেন। এ কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জীবননাশের আশঙ্কায় তিনি বাসায় না থেকে আত্মীয়স্বজনদের বাসায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মাহবুবুল হক সুমনের মহতী উদ্যোগ
--------------------------------------------------------
এর আগে মুরাদপুর থেকে রণি ও তার সহযোগী নোমান চৌধুরী, রাকিবসহ সাত-আটজন রাশেদকে মোহাম্মদপুর মাজারের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন রাশেদ মিয়া। সেখান থেকে রণির অফিস বুড়ি পুকুরপারের অ্যালুমিনিয়াম গলিতে নিয়ে চাঁদার জন্য রাশেদকে পেটানো হয়। এসময় রণির সহযোগীরা রাশেদকে হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বলেও তার দাবি। রাশেদ বলেন, রণি তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘২০ লাখ টাকা না দিলে তোকে জানে মেরে ফেলবো।’
হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে নুরুল আজিমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে চড় মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সংগঠন থেকে রণিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন :
জেবি/এসএস
মন্তব্য করুন