• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

রোহিঙ্গারা নিঃসন্দেহে জাতিগত নিধনের শিকার: যুক্তরাষ্ট্র

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

  ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:০২

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা নিঃসন্দেহে জাতিগত নিধনের শিকার। ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবেও তারা নির্যাতিত। তাই রোহিঙ্গারা যাতে ন্যায় বিচার পায় ও নিরাপদে স্বদেশে ফিরতে পারে এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। বললেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত স্যাম ব্রাউনবেক।

আজ (১৮ এপ্রিল) বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ‘ট্রানজিট রোহিঙ্গা ক্যাম্প’ পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এসময়ে সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, রোহিঙ্গারা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় বোঝা। যুক্তরাষ্ট্রও চায়, রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমার ফেরত নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়াবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে পাশে আছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ‘বেনাপোল বন্দরে সকল ধরণের চুরি বন্ধ করতে হবে’
--------------------------------------------------------

এর আগে বেলা ১১ টার দিকে মার্কিন প্রতিনিধি দলটি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তমব্রুস্থ কোনারপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে যান। সেখানেও তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং খোঁজ-খবর নেন। এসময় তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, ইউএনসিআর ও আইওএম সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাতাসংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে স্যাম ব্রাউনবেকসহ মার্কিন প্রতিনিধি দলটি ঢাকা থেকে বিশেষ বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছেন। দুপুর দেড়টার দিকে ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে মার্কিন দলটি ঢাকার পথে কক্সবাজার রওনা হন।

উল্লেখ্য, গেলে বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তারা কক্সবাজারের কয়েকটি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ। তবে তা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে তারা।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এই সংস্থাটি মনে করে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাবার জন্য এখনও নিরাপদ, সম্মানজনক ও বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ ধরনের নিরাপদ পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের। আর সেগুলো কেবল অবকাঠামোগত প্রস্তুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

এদিকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে এমনটা নিশ্চিত হওয়ার পরই রোহিঙ্গারা সেখানে ফিরবে বলে জানিয়েছে। আর এগুলোর অংশ হচ্ছে রাখাইনে তাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা ও মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়ে দৃশ্যমান উন্নতি। রাখাইন প্রদেশ নিয়ে উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আসল কারণ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

আরও পড়ুন :

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন সুইডেনের রাজকুমারী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুইডেনের রাজকন্যা
রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপি’র বড় তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনদিনের সফরে সুইডেনের রাজকন্যা ঢাকায়
X
Fresh