• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই মাদকসেবীদের আখড়া

বেনাপোল সংবাদদাতা

  ২৭ মার্চ ২০১৮, ১২:৪৬

বেনাপোল স্থলবন্দরের বাস টার্মিনালটি এখন মাদকসেবীদের নিরাপদ আখড়া হিসেবে পরিণত হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কারও বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যথা নেই। যোগাযোগ করলে একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়েছেন।

সরেজমিনে চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের ভেতরের চারপাশে ছড়িয়ে আছে শতাধিক ফেনসিডিলের খালি বোতল। আর্মড ব্যাটালিয়ন ব্যারাকের পেছন ও টার্মিনালের প্রবেশদ্বারের পাশেই ফেনসিডিলের বোতলের স্তূপ দেখা যায়। অথচ টার্মিনালে আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ ক্যাম্প ও আনসার সদস্যদের সার্বক্ষণিক প্রহরা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বখাটের আড্ডা রয়েছে টার্মিনাল এলাকায়। এরা মাদকসেবীদের কাছে ফেনসিডিল সরবরাহ করে। পরে মাদকসেবীরা টার্মিনালের ওয়াশরুম ও অলি-গলিতে ঢুকে ফেনসিডিল সেবন করে। সেখানে নিরাপত্তাকর্মীরা থাকলেও রহস্যজনক কারণে এ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। অথচ এই টার্মিনাল দিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ যাতায়াত করে। এই অবস্থা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

টার্মিনালটি সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকলেও বখাটেরা অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতো বলে অনেকের অভিমত।

ভারতগামী আশরাফুল নামের এক যাত্রী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ওয়াশরুমগুলোতে ফেনসিডিলের বোতলের ছড়াছড়ি। ঢুকতেও লজ্জা লাগে। টয়লেট থেকে বেরোনোর পর যিনি পরবর্তীতে ঢোকেন তিনি ভাবেন হয়তো ওই ফেনসিডিল আগেরজন খেয়েছে। বন্দরের বাস টার্মিনালের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এমন অবস্থা বলে দেয় এ স্থানটি মাদকসেবীদের নিরাপদ আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

টার্মিনালের পরিচ্ছন্নকর্মী সঞ্জয় আরটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রতিদিনই তারা এসব ফেনসিডিলের বোতল পরিষ্কার করেন। বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা চাইলে এখানে মাদক সেবন প্রতিরোধ করতে পারেন।

বাস টার্মিনালে কর্তব্যরত আনসার ব্যাটালিয়নের পিসি মহিদুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, তাদের জনবল সংকট থাকায় তারা ওই দিকটায় মাদকসেবন প্রতিরোধে কাজ করতে পারে না। তবে টার্মিনালটিতে যেহেতু আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ব্যারাক রয়েছে তাই বিষয়টি তারাও নজর রাখতে পারেন।

বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইরশাদ আলী মৃধা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যদের। তার সারাদিন ঘুষ বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকে। এসব দেখার সময় তাদের কোথায়?

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিম আরটিভি অনলাইনকে জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। তবে ঘটনা যদি সত্যি হয় তবে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় ১৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক 
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেপ্তার ১৯
কলেজছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 
মাদক কারবারে সংশ্লিষ্ট বদির দুই ভাই, জানালো সিআইডি 
X
Fresh