যৌন নির্যাতনের পর সেপটিক ট্যাংকে শিশুকে ফেলে দেয় দপ্তরি
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় ৯ বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন চন্দ্র মালী (৫০) নামে স্কুলের এক দপ্তরির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় উপজেলার কাটিরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই দপ্তরিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
রোববার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কাটিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে ওই শিশুটি। তার বড় ভাই পার্শ্ববর্তী কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। রোববার দুপুরে এক বান্ধবীকে নিয়ে বড় ভাইকে খাবার দিতে যায় ওই শিশু। পরে স্কুলের দপ্তরি আপন দুলাল ওই শিশুকে স্কুলের দোতালায় নিয়ে যায়। পরে ওই শিশু বাড়িতে ফিরে না গেলে তাকে খুঁজতে স্কুলে যান তার বাবা। এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে গোঙানির শব্দ পেয়ে শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, স্থানীয়রা দপ্তরি আপনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের পর হত্যার উদ্দেশে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। তবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
- সীতাকুণ্ডে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত
- র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ডাকাত নিহত
- ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা শাহ আবদুর রাজ্জাক আর নেই
এসএস
মন্তব্য করুন