• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চেয়ারম্যানের রামদার কোপে আঙুল কাটলো নারী ইউপি সদস্যের

বগুড়া প্রতিনিধি

  ০১ মার্চ ২০১৮, ১৮:১০

বগুড়ার শিবগঞ্জে নারী ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগমকে (৪০) রামদা দিয়ে কুপিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম রুপম। হতদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগকারী শ্রমিককে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাবার সময় প্রতিবাদ করায় তাকে কোপানো হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহানাজকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের মহাবালা মীরাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রামদার কোপে ওই নারীর বাম হাতের আঙুল কেটে গেছে। সেখানে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে।

শাহানাজ ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম হাতেম আলীর মেয়ে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহানাজ বেগম আরটিভি অনলাইনকে জানান, ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম রুপম ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে তিনজন শ্রমিক আজাদুল আকন্দ, কল্পনা বেগম এবং নাসিমা বেগম ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

বিষয়টি জানতে পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রুপম বুধবার রাতে তার বাহিনী নিয়ে ওই শ্রমিকদের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ তুলে নেবার জন্য তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

শাহানাজ আরও জানান, এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় চেয়ারম্যান রুপম, ইউপি সদস্য নান্নু মিয়াসহ ৫-৭ জনের বাহিনী আজাদুলে বাড়িতে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে আনার চেষ্টা করে।

এসময় নারী সদস্য শাহানা বিয়ষটি জানতে পেরে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। তখন ইউপি চেয়ারম্যান তাকে রামদা দিয়ে মাথায় আঘাতের চেষ্টা করলে তিনি বাম হাত দিয়ে বাধা দেবার চেষ্টা করেন।

এতে তার হাতের আঙুল কেটে যায়। এছাড়াও হকিস্টিক দিয়ে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রূপমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি বগুড়া শহরে বাস করি।

ঘটনাস্থলে আমি যায়নি। তাকে মারপিটের কোনো ঘটনাই আমি জানি না। পরে শুনেছি তিনি আমার এলাকায় এসে আমার ছেলেদের মারপিট করেছে। এখন উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বিষয়টি জানার পরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি নারী সদস্যকে চেয়ারম্যান রামদা দিয়ে কুপিয়েছেন এমন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন:

জেবি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজশাহী নগরীর নিউ মার্কেটের একটি দোকানে আগুন
রাজশাহীতে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা 
ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ৩
মন্ত্রীর আত্মীয় বলে ছাড় পাবে না : পলক
X
Fresh