• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ছেলেকে জিম্মি করে বিধবাকে ধর্ষণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:২০

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া এলাকায় এক বিধবা নারী (৪০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি স্থানীয়দের জানানোর পর গ্রাম্য সালিশে অভিযুক্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ বার কান ধরে ওঠবস করিয়ে সমাধান করা হয়েছে।

তবে এ সালিশের খবর পেয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে পুলিশ অভিযান চালিয় অভিযুক্ত মো. রুবেল ও নুর নবী এবং সালিশদার আবুল কাশেম ওরফে মাছ কাশেমকে আটক করেছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
--------------------------------------------------------

বিধবা ওই নারী বলেন, প্রায় তিন মাস আগে তার স্বামী মারা যান। তিনি চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ঘটনার দিন ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। সঙ্গে তার ১২ বছর বয়সী ছেলেও ছিল। রাত ১০টার দিকে তিনি ছাতাপাইয়া বাজারে পৌঁছান। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য সেলিম নামের এক ব্যক্তির রিকশা ভাড়া করেন। কিছুদূর যাওয়ার পর রিকশাচালক রিকশা থামান।

এক ঘণ্টার বেশি দাঁড়িয়ে থাকার পর নুর নবী ও রুবেল সেখানে হাজির হয়। তারা তাকে টেনে-হিঁচড়ে সড়ক থেকে একটু দূরে খাল পারে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা ছেলে কান্নাকাটি করলে তাকে ছুরির ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে রাখে।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী আরও জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সালিশদার আবুল কাশেম ও মো. হানিফ ছাতারপাইয়া বাজারে সালিশে বসেন। সালিশে শিশু, কিশোর, তরুণ-যুবকসহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় অর্ধশত লোক ছিল। এদের সামনেই সালিশে রায় দেয়া হয়। রায়ে দুই অভিযুক্ত রুবেল ও নুর নবীকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ১০ বার কান ধরে ওঠবস করানো হয়।

এদিকে বিধবা ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ার মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর তৎপর হয়ে ওঠে থানা-পুলিশ। পুলিশের একটি দল দুপুরে ভিকটিমকে মামলার জন্য থানায় নিয়ে আসে। আরেকটি দল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নুর নবী ও রুবেলকে এবং সালিশদার আবুল কাশেমকে আটক করে। ধর্ষণ ও সালিশের ঘটনায় জড়িত বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী আরটিভি অনলাইনকে জানান, বিধবা নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় রুবেল ও নুর নবী নামে দুইজন এবং আবুল কাশেম নামে এক সালিশদারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিম বাদী হয়ে এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেছেন।

আরও পড়ুন:

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
মাদক সেবনে বাধা, বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিলেন স্বামী
মন্দিরে সিঁদুর পরিয়ে নারীকে ধর্ষণ, অতঃপর....
X
Fresh