• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রধান শিক্ষক নেই শরীয়তপুরের ২৪৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২১:৩৪

শরীয়তপুর জেলায় ২৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষকের শূন্যতার কারণে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এতে করে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সমস্যা দেখা দিয়েছে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডেও।

শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে অতি দ্রুত এ সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকগণ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা জরুরি ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন।

শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলায় মোট ৬শ ৬৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ২শ ৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৪৯ জন, ডামুড্যা উপজেলায় ২৭ জন, গোসাইরহাট উপজেলার ৩১জন, নড়িয়া উপজেলায় ৪১ জন, শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৪৮ জন ও জাজিরা উপজেলায় ৫৩ জন। এ ছাড়াও ৩শ’ ৮৭ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

জানা গেছে, এ শূন্যতার কারণে বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত সহকারি শিক্ষকদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। তাদের অতিরিক্ত পাঠদানের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রশাসনিক কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে। জেলা শিক্ষা অফিস বার বার তাগিদ দেয়ার পরেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা শুধু ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েই আসছেন।

দক্ষিণ মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার বলেন, দীর্ঘ ৫টি বছর আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। এতে করে কর্মরত সহকারি শিক্ষকদের অতিরিক্ত পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

চাঁদসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা বলেন, সরকারিকরণের শুরু থেকেই আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। আমরা সহকারি শিক্ষকগণ অনেক কষ্ট করে অতিরিক্ত পাঠদানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। অতি জরুরিভাবে আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক দেয়া প্রয়োজন।

ধামসী পাটনীগাঁও সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি খান মো. ইউনুছ শরীফ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য থাকার কারণে লেখাপড়ার মান খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে জরুরিভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া দরকার।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় ঐ সকল বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। জরুরিভিত্তিতে এ সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া না হলে শরীয়তপুরে প্রাথমিক শিক্ষার কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলায় ২শ ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। পাশাপাশি ৩শ ৮৭টি সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি, সংশোধিত ফল রাতেই
চলমান তাপদাহে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল যেদিন প্রকাশ হতে পারে
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রধান শিক্ষক কারাগারে
X
Fresh