টেকনাফে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার
টেকনাফ আলাদা অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তবে ইয়াবার মালিককে ধরা যায়নি।
এসময় পাচারকারীদের থামাতে ৪২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে কোস্টগার্ড। তবে দুই অভিযানে কোনো পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে আসার গোপন সংবাদে কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট ফয়সাল বিন রশিদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম সেন্টমার্টিনের পূর্ব চরে ওঁৎ পেতে থাকে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: শিশুসহ একই পরিবারের ৪জনের মরদেহ উদ্ধার
--------------------------------------------------------
কিছুক্ষণ পর মিয়ানমারের দিক থেকে একটি নৌকা সেন্টমার্টিন উপকূল কাছাকাছি পৌঁছলে কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটি চ্যালেঞ্জ করে। এসময় নৌকায় থাকা দুই পাচারকারী ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর কোস্ট গার্ড সদস্যরা নৌকাটি তল্লাশি করে একটি বস্তায় ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৯ কোটি টাকা বলে কোস্টগার্ড জানিয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগর দিয়ে ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদে অপর একটি অভিযানে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অধীনে টেকনাফ কন্টিনজেন্টের একটি সেকশন মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সাবরাংয়ের কাটাবুনিয়ার অদূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেয়। এসময় পাচারকারীরা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকায় করে দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। পরে কোস্টগার্ড নৌকাটি আটক করলে পাচারকারীর লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি। নৌকায় তল্লাশি করে ১ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর আরো ৪ টি বোট ঘটনাস্থলের একটু দূর থেকে কোস্টগার্ড টহলদলের দিকে অগ্রসর হয়। এতে গতি প্রতিহত ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য প্রথমে ১২ রাউন্ড ব্লাংক এ্যামুনেশন ফায়ার করে কোস্টগার্ড। কিন্তু তারা ভয় না পেয়ে কোস্টগার্ড বোটের দিকে আরো দ্রুত আসতে থাকে। এসময় ৩০ রাউন্ড তাজা গুলি ফায়ার করে এবং পাচারকারী বোটের দিকে ধাওয়া করলে দ্রুত গতি পরিবর্তন করে বাহারছড়ার বীচ পয়েন্ট দিয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
- রায়ণগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিনা
- শামীম-আইভীকে ফোনে কঠোরবার্তা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জেএইচ
মন্তব্য করুন