• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

প্রথম পর্ব শুরু ১২ জানুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব ১৯ জানুয়ারি

বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় ৬ হাজার পুলিশ

টঙ্গী প্রতিনিধি

  ০৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:২৫

৫৩ তম বিশ্ব ইজতেমার দুইপর্ব সফল করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কর্তৃক গ্রহণকৃত প্রস্তুতিসমূহ নিয়ে প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় থাকছে ৬ হাজার পুলিশ। থাকছে র‌্যাব-পুলিশের ২৪ টি ওয়াচ টাওয়ার।

রোববার সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন টঙ্গী অঞ্চল- (জোন-১) কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল এমপি সভাপতিত্ব করেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম.এ মান্নান, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কেএম রাহাতুল ইসলাম, জেলা সিভিল সার্জন প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি’র কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমায় দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে ১৩ টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করতে র‌্যাবের জন্য ৯ টি ও পুলিশের জন্য ১৫ টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের অজু, গোসল, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানি সরবরাহের জন্যে ইজতেমা ময়দানে ১৩ টি গভীর নলকোপের মাধ্যমে প্রতিদিন ঘণ্টায় ৩ কোটি ৫৪ লাখ গ্যালন সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। চাহিতা মোতাবেক ১ শ’ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হয়েছে। ইজতেমা চলাকালে প্রতিদিন ২১ টি গার্বেজ ট্রাকের মাধ্যমে দিন-রাত বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদের জন্য ১৫৪ টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। আগত বিদেশি মেহমানের রান্না কাজের জন্য ১৩৬ গ্রাসের চুলা স্থাপন করা হয়েছে। যাহা সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। ইজতেমা ময়দানে ২৬ টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা-চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা, রাস্তার উপর পার্কিং করা গাড়ি সরানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টঙ্গী ব্রিজ ও কামার পাড়া ব্রিজর নীচে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বাঁশ দ্বারা ২টি নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ করা হয়েছে।