রংপুরে বিনা পয়সায় সঙ্গীত সাধনা
রংপুরে পাগলাপীর শিশু সঙ্গীত বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে দুস্থ, গরিব ও রাখাল শিশুদের সঙ্গীত শেখানো হয় ৩৩ বছর ধরে।
৫ জন দরিদ্র পথশিশু নিয়ে ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে পাগলাপীর শিশু সঙ্গীত বিদ্যালয়। বর্তমানে ৭৫ জন শিশু এ বিদ্যালয়ে সঙ্গীত চর্চা করছে। সঙ্গীত শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকার জন্য দেশে বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছে বিদ্যালয়টি।
৩৩ বছরে ৫ হাজার দরিদ্র পথশিশুকে গানের তালিম দেয়া হয়েছে। এদের মাঝে ১৮১ জন মেধাবি শিশু পেয়েছে জাতীয় নানা পুরস্কার। মিলেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক বিরল স্বীকৃতিও। এরমধ্যে অদম্য ১১ জন শিশু জাপান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে শিশু সঙ্গীত উৎসবে যোগ দিয়ে উজ্জ্বল করেছে গোটা বাংলাদেশকে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শিল্পী।
বিনা পারিশ্রমিকে হাজার হাজার শিশুকে সঙ্গীতের আলোয় আলোকিত এবং লাখো মানুষের বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরি করায় বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী পেয়েছেন আব্বাছ উদ্দিন পদক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পদকসহ অনেক সম্মাননা, হয়েছেন সাদা মনের মানুষ।
রমজান আলী সরকার জানান, ১০ বছর বয়সে পিতা-মাতা হারিয়ে সিরাজগঞ্জের ওস্তাদ মকবুল হোসেনের কাছে গান শিখেছি। নিজের পারিশ্রমিক অর্থ দিয়ে অনাথ-এতিমদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। বিদ্যালয়ের আরো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি আশা করি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে শুদ্ধ সঙ্গীতের আলো ছড়িয়ে দিতে শিক্ষকরা বিনা পয়সায় সঙ্গীতের অনেক কৌশল শিখিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে সঙ্গীত পরিবেশন করে তাকে মুগ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের সভাপতি রায়হান হোসেন সাজু বলেন, জেলা প্রশাসনের সহায়তায় জমি বরাদ্দ ও কয়েকটি আধাপাকা ভবন নির্মিত হলেও সংস্কারের অভাবে সেটিতে ফাটল ধরেছে। তাই স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করি।
এমকে
মন্তব্য করুন