• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

মায়ের কোলে সাংবাদিক উৎপল দাস

নরসিংদী প্রতিনিধি

  ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৪৩

অপহরণের দুই মাস ২০দিন পর অবশেষে মায়ের কোলে ফিরলেন সাংবাদিক উৎপল দাস। আজ বুধবার ভোরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাড়িতে ফেরেন তিনি।

সেখানে উৎপলকে দেখার জন্য মানুষের ভিড় জমে। এছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিকরাও তাকে দেখার জন্য উপস্থিত হন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সাংবাদিক উৎপল দাসকে কে বা কারা চোখ বাধা অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতার আধুরিয়া শাহজালাল সিএনজি স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যায়। তবে কারা তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা জানেন না বলে উৎপল দাস জানান।

কোন একটি মাইক্রোবাসে করে চোঁখ বাধা অবস্থায় শাহজালাল পেট্রল পাম্পের সামনে ফেলে রেখে যায় বলে উৎপল জানান। সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে উৎপলকে উদ্ধার করে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম। উদ্ধারের খবর পেয়ে তার পরিবার সদস্যরা রাত আড়াইটার দিকে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে যান।

গ্রামের বাড়িতে বসে আরটিভি অনলাইনকে উৎপল দাস বলেন, ‘আমাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় তিন-চার ঘণ্টা একটা গাড়িতে করে ঘোরানো শেষে এখানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। আমাকে এখানে নামিয়ে দেওয়ার সময় আমার চোখের বাঁধন খুলে দিয়ে তাঁরা বলে- আমরা যখন গাড়ি টান দেব তখন তুই চোখ খুলবি। আমি যখন সিএনজি স্টেশনে ঘোরাফেরা করছিলাম, তখন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম গিয়ে আমাকে সিএনজি স্টেশন থেকে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে আমার সাংবাদিক ভাইয়েরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে দুপুরে আমাকে পেছন থেকে অপহরণ করা হয়। আমাকে তুলে নেওয়ার সময় কাউকে দেখতে পাইনি। পরে আমাকে একটি টিনশেড নরমাল ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে তিনবেলা দরজার নিচ থেকে নরমাল খাবার দেওয়া হতো। সেখানে চৌকি বা খাট ছিল না, ফ্লোরের মধ্যে থাকতে হয়েছিল। ওই ঘরে এটাচ বাথরুম ছিল। সেখানে গোসল করতাম।’

নির্যাতন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথমদিকে কিছু চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে। তারা আমাকে বলত, তোর অনেক টাকা। তুই টাকা দে। আমার মুঠোফোনটি যারা অপহরণ করেছে, তারাই নিয়ে নেয়। তারাই হয়তো ফোনটি অন করত, ওইটা দিয়ে কথা বলত।’ তাদের আচরণে কোনো পেশাদারির ছাপ ছিল কি না জানতে চাইলে তার কোন উত্তর মেলেনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

উৎপলের বোন বিনিতা রানী দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাংবাদিক ভাইদের চেষ্টায় আমরা ভাইকে ফিরে পেয়েছি। আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

উৎপলের বাবা চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, ‘ছেলেকে আমি ফিরে পেয়েছি এটাই আমার বড় আনন্দ। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’

অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক উৎপল দাস (২৯) গত ১০ অক্টোবর দুপুরে মতিঝিলের অফিস থেকে বের হওয়ার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh