• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ভূরুঙ্গামারীতে বিরল রোগে আক্রান্ত মীম

কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি

  ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৫৫

আট বছরের শিশু মীমের শরীর এখন কালো-কালো ছাপ, যেন ফোসকা পড়েছে। সেগুলো পেকে ঘা হচ্ছে। আবার শুকিয়ে গিয়ে হচ্ছে কালচে রঙের। সারা শরীরের ব্যথায় ছটফট করে মীম। ফোসকাগুলো আগুনের মত জ্বালা করে। কিছুদিন থেকে চোখ দুটি আক্রান্ত হয়ে লালচে হয়ে গেছে। এতে করে বর্তমানে আলোরদিকে তাকাতে পারে না। ফলে হারাতে বসেছে চোখ দু’টো। অনেক চিকিৎসা করেও লাভ হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হবে। দিনমজুর বাবা চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মেয়ের এমন অবস্থায় সারাক্ষণ কেঁদে অস্থির মা মরিয়ম বেগম।

ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেড়ছড়া ইউনিয়নের কালিরহাট গ্রামের দিনমজুর জাহেদুল ইসলামের মেয়ে মীমের বয়স আট বছর। জন্মের পর দু’বছর বয়সের সময় হঠাৎ বিরল রোগ দেখা দেয় মীমের। পুরো শরীরেই ওঠে ফোসকা। সেগুলো পরবর্তীতে গলে যায়। আস্তে আস্তে সারাশরীর তার ঢেকে যায় এ রোগে। ডাঙ্গিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মীম। কিন্তু গত ছয়মাস যাবৎ চোখে ঠিকমত দেখতে না পাওয়ায় সে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

মীমের মা মরিয়ম বেগম বলেন- ছয় সাত আগে তাকে রংপুরে এক মহিলা চিকিৎসককে দেখানো হয়। তার দেয়া ওষুধ খাওয়ার পর অসুখটি বেড়ে যায়। সেটি এখন চোখ দিয়েও বের হচ্ছে। কানেও কম শুনতে পায়। ভাল করে কথাও বলতে পারছে না। শুধু কান্নাকাটি করে। আমি মা হয়ে সহ্য করতে পারছি না মেয়ের কান্না। অর্থের অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছি না। অনেকেই বলেছে ঢাকায় ভাল ডাক্তার দেখাতে। তাই ইউএনও স্যারের কাছে মেয়েকে নিয়ে গেছি সাহায্যের জন্য।

মীমের বাবা জাহেদুল ইসলাম বলেন, থাকি ওয়াপদা বাঁধের উপর। দিন আনি দিন খাই। এরমধ্যে ৫০-৬০ হাজার টাকা মেয়ের চিকিৎসা করতে গেছে। কিন্তু দিন দিন অসুখ বেড়েই চলছে। আর চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা নেই।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী বলেন, এ রোগটিকে সোরিয়াসিস বলা হয়। এর চিকিৎসার জন্য লাখ লাখ টাকা প্রয়োজন। আমার কাছে মীমের মা একটি আবেদন নিয়ে এসেছে। আমরা সামান্য কিছু হয়তো দিতে পারবো। কিন্তু এটা দীর্ঘদিন চিকিৎসা করতে হবে।

পি/

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh