• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি : হাইকোর্টে স্থগিত ৬১ জনের মামলা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৩১

সুনামগঞ্জে হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের ১৫ কর্মকর্তা ও ৪৬ ঠিকাদারসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে কেন এই মামলা বাতিল করা হবে না এ মর্মে রুলও জারি করেছেন আদালত। দুদক চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ পাঁচজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ১২ ডিসেম্বর দেয়া আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এ মামলার আসামি মো. বাচ্চু মিয়ার রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মালামা মাসুদ চৌধুরী ও এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

শুনানিতে আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আসামি মো. বাচ্চু মিয়া মেসার্স ইব্রাহিম ট্রেডার্স অ্যান্ড শামীম আহসানের প্রোপ্রাইটার।

খুরশীদ আলম খান বলেন, হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের ৬১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম তিনমাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

চলতি বছরের ২ জুলাই সুনামগঞ্জে হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের ১৫ কর্মকর্তা এবং ৪৬ ঠিকাদারসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ১৬৬, ৪০৯, ৫১১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পর ঢাকার মতিঝিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশপাশ থেকে আসামি সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী (সাময়িক বরখাস্ত) মো. আফসার উদ্দিন ও ঠিকাদার বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করে দুদক।

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ১৩ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গঠন করা হয় তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি। দুদক পরিচালক বেলাল হোসেনকে প্রধান করে ওই টিম করা হয়। টিমের অনুসন্ধানে ওই প্রতিবেদনের সত্যতা মেলে। সেই সূত্রেই মামলা করা হয় ৬১ জনের বিরুদ্ধে।

মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা

মামলার ৬১ আসামির মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা রয়েছেন ১৫ জন। তারা হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিন, সুনামগঞ্জের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দীপকরঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, সিলেট সার্কেলের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার, সাবেক অতিরিক্ত প্রকৌশলী মো. আবদুল হাই, সেকশন কর্মকর্তা মো. শহীদল্লা, সেকশন কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ খান, সেকশন কর্মকর্তা খন্দকার আলী রেজা, সেকশন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সেকশন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, সেকশন কর্মকর্তা মো. বরকত উল্লাহ ভুঁইয়া, সেকশন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল করিম, সেকশন কর্মকর্তা মো. মোসাদ্দেক, সেকশন কর্মকর্তা সজীব পাল, সেকশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

অপরদিকে ৪৬জন ঠিকাদার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলো- গুডম্যান এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটার আফজালুর রহমান, মেসার্স খন্দকার শাহীন আহমেদের প্রোপ্রাইটার খন্দকার শাহীন আহমেদ, মাহীন কন্ট্রাকশনের প্রোপ্রাইটার মো. জিল্লুর রহমান, সজিব রঞ্জন দাসের প্রোপ্রাইটার সজীবরঞ্জন দাস, মেসার্স এলএন কন্সট্রাকশনের প্রোপ্রাইটার পার্থসারথী, মেসার্স হান্নান এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটার হান্নান আহমেদ, মেসার্স নূর ট্রেডিংয়ের প্রোপ্রাইটার খায়রুল হুদা চপল, কামাল হোসেনের প্রোপ্রাইটার কামাল হোসেন, কাজী নাসিম উদ্দিন, খন্দকার আলী হায়দার, মেসার্স আকবর আলীর প্রোপ্রাইটার মো. আকবর আলী, আমিন অ্যান্ড কোংয়ের প্রোপ্রাইটার মো. রবিউল আলম, মেসার্স বোনাস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপ্রাইটার মো. আবুল হোসেন, মেসার্স বসু নির্মাণ সংস্থার প্রোপ্রাইটার শিব্রত বসু, মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটার মোজাম্মেল হক মুনিম, মেসার্স ইব্রাহীম ট্রেডার্স অ্যান্ড শামীম আহসানের প্রোপ্রাইটার মো. বাচ্চু মিয়া, মেসার্স এম রহমানের প্রোপ্রাইটার শেখ মো. মিজানুর রহমান, মেসার্স মাহবুব এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটার আবুল মহসিন মাহবুব, মেসার্স মালতী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটার বিপ্রেশ তালুকদার বাপ্পি, মেসার্স মো. জামিল ইকবালের প্রোপ্রাইটার মো. জামিল ইকবাল, মেসার্স নিম্মী অ্যান্ড মুমুর প্রোপ্রাইটার চিন্ময়কান্তি দাস, মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্স এর প্রোপ্রাইটার নিয়াজ আহমেদ খান, মেসার্স প্রীতি এন্টারপ্রাইজের মিলন কান্তি দে, মেসার্স আর আর ট্রেডিংয়ের প্রোপ্রাইটার খান মো. ওয়াহিদ রণি, ঠিকাদার মো. শোয়েব আহমদ, মো. ইউনুস, মো. আবদুল কাইয়ুম, মো. আতিকুর রহমান, মো. খাইরুজ্জামান, মো. মফিজুল হক, মো. মখলিছুর রহমান, মো. নূরুল হক, মো. রেনু মিয়া, মো. শাহরিন হক মালিক, মো. শামসুর রহমান, আবদুল মান্নান, মোকসুদ আহমেদ, মো. সাইদুল হক, মো. মাহতাব চৌধুরী, কাজী হাসিনা আপরোজ, শেক আশরাফ উদ্দিন, লুৎফুল করিম, হাজী মো. কেফায়েতুল্লাহ, হুমায়ূন কবির ও মো. ইকবাল মাহমুদ।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh