আকাশ আমাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়

‘বাসা থেকে বের হয়ে বুড়িবাজার যাওয়ার পথে আমার গতিরোধ করে আকাশ। একপর্যায়ে সে আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি সরু গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে আকাশ আমাকে একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।’

কথাগুলো বলছিলেন সাভারের আশুলিয়া কলেজের এক ছাত্রী। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে সাজ্জাদ হোসেন আকাশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

আকাশ একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তিনি উত্তর গাজীরচট এলাকার আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন খান এর ভাই সাখাওয়াত হোসেন খানের ছেলে।

রোববার রাতে আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন ওই কলেজছাত্রী।

এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার কলেজ ছাত্রী আরটিভি অনলাইনকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আকাশ তাকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজেবাজে কথা বলতো। বিষয়টি আকাশের বাবাকে জানানো হলেও তিনি কোনা ব্যবস্থা নেননি।

তিনি আরো জানান, গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর ) দুপুরে বাসা থেকে বুড়িবাজার যাওয়ার পথে গতিরোধ করে আকাশ। একপর্যায়ে তাকে জড়িয়ে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি গলিতে নিয়ে তার পরিহিত কাপড় টানা হ্যাচড়া করে। সেইসঙ্গে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

ওই কলেজছাত্রী জানান, এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

কলেজছাত্রীর বাবা মনির হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ আমার মেয়ে একজন মেধাবী ছাত্রী। বখাটে আকাশের কারণে আমার মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমার পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’ তিনি পরিবার ও মেয়ের নিরাপত্তা চান।

জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে আসামিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জেবি/এসআর