কুষ্টিয়ায় নর্থ সাউথের ছাত্র হত্যায় ২ জনের ফাঁসি
কুষ্টিয়ায় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিপু হত্যায় দুইজনকে ফাঁসির আদেশ ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
বুধবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম মাহমুদুল হক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৯ আসামি উপস্থিত ছিল। ১ জন ফাঁসির আসামীসহ বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাকিবুল ইসলাম বাপ্পী (২২) ও সুমন (৩৫)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন হৃদয় (১৮), আলিফ (১৮), সাজেদুল (২৩), নয়ন (২২), সজিব (২৫), মিনহাজ (২৫), মিলন (৩২) ও জুহাইম খন্দকার ওরফে শুভ।
এছাড়া মাহবুব আলম (২৫), রিপন হোসেন (২৩) ও সুজন মাহমুদকে (২২) তিন বছর করে, আর আবু সায়ীদকে (৪৫) দশ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আহসান হাবিব (৫০), আনোয়ারা বেগম (৩৮), শাহিনুল ইসলাম (২৯) ও আবু তালেবকে (৫০) খালাস দিয়েছেন আদালত।
তাদের মধ্যে সুমন, আলিফ, তালেব, সাজেদুল, নয়ন, সজীব, সায়ীদ, মিনহাজ, মিলন – এই নয়জন পলাতক। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩১ অগাস্ট ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলে ঢাকার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম লিপুকে কুষ্টিয়া থেকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
পরবর্তীতে লিপুর পিতা বাদী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় ছেলের বন্ধু ইমন, শুভ ও রাতুলকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ আসামিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে লিপু অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে লিপুর মরদেহ নদীতে গুম করার সঙ্গে জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে আদালতে জবানবন্দি দেন তারা। পরে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ১৮জনকে আসামি করে।
এ ঘটনায় লিপুর বাবা ওয়াহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া থানায় অপহরণ, হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
রায় ঘোষণার পর লিপুর চাচা ওবাইদুল ইসলাম জানান, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও ফাঁসির আদেশ না দিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
এসএস
মন্তব্য করুন