• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

টঙ্গীতে চারদিনে ৫ অস্বাভাবিক মৃত্যু

মো. পলাশ প্রধান

  ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:০৪

টঙ্গীতে গেলো চারদিনে পৃথক স্থানে পাঁচটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুইটি ঘটনাকে মৃতের স্বজনরা হত্যা বলে দাবি করেছেন।

টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় গেলো শুক্রবার রাতে শরিফ মার্কেট থেকে আলমগীর হোসেন (১০) নামে এক মাদরাসাছাত্রের ও শনিবার সকালে গোপালপুর এলাকা থেকে রিয়া আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া গেলো রোববার আরো দুইটি পৃথক ঘটনায় রুবেল (৩১) ও গৃহবধূ সুফিয়ার (১৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সোমবার সকালে টঙ্গীর দত্তপাড়া জহির মার্কেট এলাকা থেকে ঝর্ণা (২২) নামে আরেক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মাদরাসা ছাত্র আলমগীরের বড় বোন আরটিভি অনলাইনকে জানান, আমার ছোটভাই দুইদিন মাদরাসায় যায়নি। তাকে শাসন করায় গেলো শুক্রবার রাতে জসিম উদ্দিনের ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে দড়ি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

আলমগীর হোসেন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুলাউরা গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে। সে সাতাইশ এলাকার সামিয়া হামিদিয়া কারীম মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

অপরদিকে গেলো শনিবার সকাল ১০টায় গোপালপুর এলাকার নান্নু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আরব আলী মুন্সির মেয়ে রিয়া আক্তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহতের বড়বোন আঁখি তার বাবা আরব আলী মুন্সির বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে গেলো সোমবার সন্ধ্যায় একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ অভিযুক্ত বাবা আরব আলী মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। রিয়া শরীয়তপুরের ভাঙ্গা থানা এলাকার ঢোলকান্দি গ্রামের একটি স্কুলের ছাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।

টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর হাজী বাড়ির ভাড়াটিয়া রুবেল তার ঘরের দরজা আটকিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তার স্বজনরা ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে রুবেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত রুবেল একজন পিকআপভ্যান চালক ছিলেন।

রুবেলের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায়। তিনি শিমুলিয়া গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে।

এর আগে রোববার রাত একটায় একই এলাকা থেকে সুফিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে টঙ্গী থানা পুলিশ। সুফিয়ার শাশুড়ি মমতাজ বেগম আরটিভি অনলাইনকে জানান, রাত আটটায় টিভি দেখার সময় আমি একটি থাপ্পড় দেই সুফিয়াকে।

সেই অভিমানে সুফিয়া রাতে দরজা বন্ধ করে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত সুফিয়া লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার চরগজারিয়া এলাকার মো. সোহেলের স্ত্রী।

গেলো সোমবার সকালে টঙ্গীর দত্তপাড়া জহির মার্কেট এলাকা থেকে ঝর্ণা নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বাবা লিয়াকত আরটিভি অনলাইনকে জানান, কয়েক মাস ধরে স্বামী খোকন যৌতুক হিসেবে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিল।

টাকা দিতে না পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে ঝর্ণাকে পিটিয়ে আহত করে খোকন। পরে ঘটনার দিন রাতে শ্বাসরোধে ঝর্ণাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে।

তবে পুলিশের কাছে আটক খোকন শ্বাসরোধের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঝর্ণা আত্মহত্যা করেছে। নিহত ঝর্ণা জামালপুর জেলার বকসীগঞ্জ থানার গুড়িয়ার চরের বাসিন্দা।

এসব অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সবগুলো মৃত্যুর ঘটনাই তদন্তাধীন রয়েছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh