মেহেরপুরে সাপ আতঙ্কে ঘুমাতে পারছেন না গ্রামবাসী
সাপ আতঙ্কে রয়েছেন মেহেরপুরের বিভিন্নস্থানের মানুষজন। গেলো তিন মাসে জেলাজুড়ে সাপের কামড়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার পূর্ব মালসাদহ গ্রামের নুরুল ইসলামকে গেলো ৬ সেপ্টেম্বর ঘুমের মধ্যে সাপে কামড় দেয়। এ ঘটনার সপ্তাহখানেক আগে একই পাড়ার এক নারীকেও সাপে কাটে।
দু’জনই ওঝার চিকিৎসার পর মারা যান। পরে ওই এলাকা থেকে একটি বিষাক্ত সাপও ধরা হয়।
গ্রামের লোকজনের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। অনেকেই সাপ আতঙ্কে ঘুমাতে পারছেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাতে ঘর থেকে বের হন না স্থানীয়রা।
তবে মেহেরপুর গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এমকে রেজা জানান, সাপ কামড় দিলে ওঝা-কবিরাজের ফাঁদে না পড়ে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা উচিত।
এদিকে, গ্রামে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে ওঝাদের চিকিৎসার বিচিত্র সব তথ্য। সাপে কামড় দেয়ার সম্ভাব্য স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে ঝাঁঝরা করে বের করা হচ্ছে রক্ত। পরে আদিমযুগীয় কায়দায় ঝাড়ফুঁক দিয়ে খাইয়ে দেয়া হচ্ছে গাছ-গাছড়ার রস। মানুষের আতঙ্ককে পুঁজি করে সাপ তাড়াতে মনসা মঙ্গল গানের আয়োজনও করছেন ওঝা-কবিরাজরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওঝা-কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তাই সাপ ছোবল দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
আরকে/এসএস
মন্তব্য করুন