‘বাবা গো আমি মোবাইল চুরি করিনি’
‘বাবা গো আমি মরে যাবো, আমি মোবাইল চুরি করিনি, চাচির ভাইয়েরা আমাকে তুলে নিয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুনে দগ্ধ আজিজা খাতুন মৃত্যুর কোলে ঢলে পরার আগে তার বাবার কাছে এমন করুণ আহাজারিই করেছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খনকুট গ্রামে আজিজা খাতুন নামের ওই কিশোরীকে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে তার চাচির নির্দেশে হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত নয়টার দিকে আজিজা খাতুনের গায়ে আগুন দেয়া হয়। পরে তার স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের ৯৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত আজিজার বাবা আবদুস সাত্তার বলেন, কিছুদিন আগে আজিজার চাচি বিউটির একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। এরপর থেকে আজিজাকে সন্দেহ করেন তিনি এবং বাড়িতে এসে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার স্ত্রী রেহানা বেগম বাড়িতে ছিলাম না। আমার মেয়ে মৃত্যুর আগে বলে গেছে বিউটি চাচির দেখানো লোকজন আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আমার গায়ে আগুন দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আমার মেয়ে বলে গেছে, বাবা গো আমি মরে যাবো, আমি মোবাইল চুরি করিনি, চাচির ভাইয়েরা আমাকে তুলে নিয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া কিশোরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিবপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মজিবুর রহমান জানায়, ঘটনার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত চাচি বিউটি বেগম ও তার স্বজনরা। বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন