• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কক্সবাজারে গড়ে তোলা হচ্ছে মসজিদ-মাদ্রাসা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৪০

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের কুতুপালংসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে গড়ে তোলা হচ্ছে মসজিদ-মাদ্রাসা।

ইবাদতের পাশাপাশি অসহায় রোহিঙ্গাদের অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন সেখানে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে এসব মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণে সহায়তা করছেন।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং বনভূমির বিশাল এলাকাজুড়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। এখানে ছয় লাখ রোহিঙ্গার জন্য আবাসন গড়ে তোলা হচ্ছে। নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবনের মসজিদ-মাদ্রাসা। এতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই।

মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ নিয়ে নেতিবাচক কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া।

তবে মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণকে স্থানীয়রা সাধুবাদ জানালেও এসবের সঠিক পরিসংখ্যান রাখার দাবি জানান তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজের সমারোহ। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা ফসলি জমি, বনের গাছ আর পাহাড় কেটে বসতি গড়ে তোলায় বদলে যাচ্ছে পরিবেশ। এতে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।

মাত্র দুই মাস আগেও সবুজে ঘেরা ছিল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত। কিন্তু এখন তা পরিণত হয়েছে বিরান ভূমিতে। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে কয়েক হাজার একর পাহাড়ি ভূমি দখল করে তৈরি করেছে বসতি। বনজ ও ফলদ বাগান উজাড় করার পাশাপাশি জমিতেও ঘরবাড়ি তুলছে রোহিঙ্গারা।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে গোটা এলাকা। পাহাড়ে আবারো সবুজের আবহ ফিরিয়ে আনতে বড় আকারে বনায়ন কর্মসূচি চান তারা।

গেলো ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি সীমান্ত চৌকিতে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় রোহিঙ্গা দমন অভিযান শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ একে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেড়াতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় সেনাসদস্য নিহত
যেভাবে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’
পারিশ্রমিক ছাড়াই ১৮ বছর তারাবি পড়াচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি!
‘কক্সবাজারকে সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে’
X
Fresh