• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শিক্ষার্থী বলাৎকারের সাক্ষী ‘নিখোঁজ’

ইয়াছিন রানা সোহেল

  ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৩৮

রাঙামাটি শহরের আমানতবাগ এলাকার দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে রহস্যজনকভাবে এক শিক্ষার্থী এক সপ্তাহ ধরে ‘নিখোঁজ’ রয়েছে।

নিখোঁজ শিক্ষার্থী মো. মনসুর আলী (১০) শহরের শান্তিনগর এলাকার মৃত শফিউল ইসলামের ছেলে।

ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মনসুর আলীর মা রিনা বেগম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, গেলো ৫ অক্টোবর মাদরাসার কাউকে কিছু না বলে চলে যায় মনসুর। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তবে নিখোঁজ মনসুরের মা রিনা বেগম দাবি করেন, এই মাদরাসার শিক্ষকদের দ্বারা প্রায় সময় শিক্ষার্থীদের বলাৎকারের ঘটনা ঘটে। তার ছেলেও বেশ কয়েকবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলেছে কিন্তু তিনি কখনো তা মাথায় নেননি। এছাড়াও গেলো এপ্রিল মাসে মাদরাসার শিক্ষক আবদুল হামিদ শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম সাগরকে বলাৎকার করেন। পরে সাগরের মা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। এই ঘটনার সাক্ষী ছিল শিক্ষার্থী মো. আবদুল্লাহ ও মনসুর আলী।

আবদুল্লাহ জানায়, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রতি রাতে হুজুররা বলাৎকার করতো। ছেলেরা চিৎকার করলে তাদের হুমকি দেয়া হতো। এমনকি মাদরাসার ছাদ থেকে ফেলে দেয়ারও ভয় দেখাতো। এই ঘটনার শিকার সোহেল, শাহীনসহ প্রায় ১৫-২০ জন আছে বলে জানায় সে।

অনেকের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে গেছে বলে জানান মনসুরের মা রিনা বেগম। সাগরকে বলাৎকারের ঘটনার পর মো. আবদুল্লাহকে তার অভিভাবকরা মাদরাসা থেকে নিয়ে আসলেও মনসুরকে আবারো ভর্তি করায় তার মা।

মনসুরের মা রিনা বেগম জানান, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে তার ছেলেকে ১৫০০ টাকা ফি দিয়ে ভর্তি করান। এ সময় তাকে তিনটি বইও দেয়া হয়। কিন্তু মনসুর নিখোঁজ হওয়ার পর মাদরাসার শিক্ষকরা তার নাম কেটে দিয়ে বলছে তাকে ভর্তি করানো হয়নি।

রিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে প্রায়ই তাকে মাদরাসা থেকে নিয়ে আসার কথা বলতো এবং তার ওপর নির্যাতনের বিষয়টিও বুঝানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু ছেলের কথা কখনো আমলে নিতাম না। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগেও সে মাদরাসা থেকে নিয়ে আসার জন্য বলেছে। কিন্তু কাজের ব্যস্ততার কারণে যেতে পারিনি’।

এই বিষয়ে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা হাজি শরীয়ত উল্লাহর সঙ্গে সোমবার বিকেলে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি জানান, নিখোঁজ মনসুরের সন্ধানে তিনি ও শিক্ষকরা চেষ্টা করছেন।

মাদরাসায় শিক্ষার্থী বলাৎকারের সাক্ষী ছিল মনসুর এই কথা বলতেই হাজি শরীয়ত উল্লাহ বলেন ‘এসব হচ্ছে আলেমদের নাজেহাল করার ষড়যন্ত্র। এটা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

জেবি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডাকাতিয়া নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার 
নৌকা থেকে নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজ
নিখোঁজের ৮ দিন পর নদী থেকে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার 
নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ নৌ সৈনিক, মরদেহ উদ্ধার
X
Fresh