• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যায় ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

  ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ২২:৪১

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে আইন কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী রোববার টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করেন।

গ্রেপ্তার হওয়া বাসের পাঁচজনের বিরুদ্ধে রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯), চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫)।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পরিবহনের পাঁচজন মিলে কলেজছাত্রী রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার বিষয়টি চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ডিএনএ প্রতিবেদনে পজিটিভ কিছু আসেনি।

গেলো ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করেন। বাসেই তাকে হত্যার পর টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মরদেহ ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় নারী হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।

গেলো ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯), চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তাদের প্রত্যেকেই আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল জেলহাজতে আছে।

এদিকে গেলো ১২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কাছে রূপার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাথায় আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয় এবং তার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খান এ তথ্য জানান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, ময়নাতদন্তের সময় সংরক্ষিত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে গেলো ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার সে প্রতিবেদন আসে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh