• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ধুনটে চরমপন্থি দলের পোস্টারিং, জনমনে আতঙ্ক

বগুড়া প্রতিনিধি

  ১১ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:০৮

বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি দলের (পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি) পোস্টারিং করায় জনমনে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি এই পোস্টারগুলো এলাকাবাসীর নজরে আসে।

ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মথুরাপুর গ্রাম থেকে শিমুলকান্দি গ্রাম পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে ঘরের দেয়াল, স্কুলের নামফলক ও গাছের সঙ্গে এসব পোস্টার টাঙানো হয়েছে।

মথুরাপুর গ্রামে জয়নাল আবেদীনের ঘরের দেয়াল, উলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামফলক ও শিমুলকান্দি গ্রামের রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে পোস্টারগুলো দেখা গেছে।

পোস্টারে লাল রঙের ছাপা অক্ষরে লেখা রয়েছে, সর্বহারা পার্টির চতুর্থ জাতীয় কংগ্রেসের আহ্বান শোষণহীন ও শ্রেণিহীন বিশ্ব সমাজ কায়েমের জন্য মার্কসবাদ, লেনিনবাদ ও মাওবাদের মতবাদকে গ্রহণ করুন। একটি একক মাওবাদী পার্টি ও একটি নতুন ধরনের কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তুলন। এছাড়া সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান রয়েছে। প্রচারে পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি।

মথুরাপুর গ্রামের মাদরাসা ছাত্র রাসেল মাহমুদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, সকাল বেলা ঘর থেকে বের হয়ে দেয়ালের সঙ্গে এই পোস্টার লাগানো দেখছি। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা বলতে পারছি না। তবে পোস্টারে সরকারবিরোধী কথা রয়েছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী ভূইয়া আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কে বা কারা এই পোস্টারগুলো লাগিয়েছে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পোস্টার লাগানোর ফলে জনমনে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আশির দশকে এই এলাকায় সর্বহারা পার্টি ছিল। ওই সময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সর্বহারা পার্টি এলাকা থেকে বিদায় নিয়েছিল। কিন্ত আবারো পোস্টার লাগিয়ে সর্বহারা পার্টি তাদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। এ বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

ধুনট থানার ওসি মিজানুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এ ধরনের পোস্টার প্রচার করেছে। প্রকৃতপক্ষে এই এলাকায় সর্বহারা পার্টির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh