জমি ফেরতসহ ৭ দফা দাবিতে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালপল্লীতে বিক্ষোভ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের জমি ফেরতসহ ৭ দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম আদিবাসী সাঁওতালপল্লীতে বিক্ষোভ করেছে সাঁওতালরা।
সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও জনউদ্যোগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আদিবাসি পল্লী জয়পুর থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাদারপুর গির্জার সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও ৩ সাঁওতাল হত্যাকাণ্ড মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডে গোবিন্দগঞ্জের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুলসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচার শুরুর দাবি জানান।
সমাবেশ থেকে ৬ নভেম্বর ৩ সাঁওতাল হত্যাকাণ্ড দিবস গোবিন্দগঞ্জ শহরে পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সবিন চদ্র মুন্ডা, আদিবাসী ইউনিয়ন নেতা বার্নাবাস, আদিবাসী বাঙ্গালী সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, বাসদের জেলা সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুরাদজ্জামান রব্বানী, জনউদ্যেগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, সিপিবি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রাণী দেব, এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, যুব ইউনিয়ন নেতা প্রিসিলা মুর্মু, আদিবাসী নেতা অলিভিয়া মার্ডিসহ আরো অনেকে।
গত বছর ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্মের পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল সাঁওতালরা। এসময় আদিবাসী পল্লীতে পুলিশের ইন্ধনে সাঁওতালদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ সাঁওতাল শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ নিহত হন। এরপর থেকেই পুলিশি হামলা, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনে জড়িতদের বিচার এবং পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সাঁওতালরা।
এসজে
মন্তব্য করুন