• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

৩ বছর পর টেন্ডার হলো দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর

ফেরদৌস জুয়েল, গাইবান্ধা

  ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৩৪

অবশেষে টেন্ডার হয়েছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর চিলমারি দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর উদ্বোধনের তিন বছর পর ২৮ সেপ্টেম্বর তিস্তা সেতুর টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলো।
প্রকল্প পরিচালক খন্দকার মাহাবুব হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী ২২ নভেম্বর টেন্ডার খোলা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি, উলিপুর, রাজারহাট, রাজীবপুর, রৌমারীসহ এবং গাইবান্ধা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর। ১ দশমিক ৪৯০ কিলোমিটার পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। নানা জটিলতার কারণে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম আরটিভি অনলাইনকে জানান, এটি নির্মিত হলে কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার দুরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার কমে যাবে। পাশাপাশি এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এই তিস্তা সেতুটি ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করার হবে। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি। এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে।
তিনি জানান, সেতুর উভয় পাশের নদী শাসন করা হবে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পাশে সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭.৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার।
চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করা হবে ৯০.৮৪ হেক্টর। এর চিলমারী এলাকায় ২২.৫ হেক্টর এবং গাইবান্ধা এলাকায় ৬৮.৩৪ হেক্টর।
গত ১৫ জুন জাতীয় সংসদে ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ বাজেট অধিবেশনে হরিপুর তিস্তা সেতু নিয়ে জোরালো বক্তব্য রাখার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এরই মধ্যে সড়ক নির্মাণের মাটি ভরাটের টেন্ডার হয়েছে।
সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ জানান, মুল সেতুর টেন্ডার হওয়ায় দুই জেলার মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি আরো বলেন ব্রিজটি নির্মাণ হলে ব্যবসা বাণিজ্যসহ দুই জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানান, তিস্তা সেতুর যাবতীয় কার্যক্রম গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে পরিচালিত হচ্ছে।
সেতুর বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সুন্দরগঞ্জ তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক শরিয়ত উল্যা মাস্টার বলেন, তিস্তা সেতু নির্মাণের দাবিতে একযুগ ধরে আন্দোলন করছি। অনেক সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ করেছি। সেতু নির্মাণের কথা শুনে ভাল লাগছে। তবে সেতুটি নির্মাণ দেখে যেতে পারলে আরো ভাল লাগবে।
এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গোবিন্দগঞ্জে ইফতারি কিনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ৪
গাইবান্ধায় মরদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও
গাইবান্ধায় শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
X
Fresh