নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে কারাগারে প্রেরণ
দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন যশোরের স্পেশাল জজ আদালত।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে সোহরাব হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রুপগঞ্জ পশুহাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
পরে এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান। তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিডি হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি দরপত্রের মূল্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
ওই আবেদনে আরেক আসামি তৎকালীন পৌর কমিশনার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ ছয়জন কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত সচিব সুপারিশ করেন।
পরে মেয়র হিসেবে সোহবার হোসেন তা মঞ্জুর করেন। এরপর ইজারাদাতাকে তার জমাকৃত টাকা ফেরত দেয়া হয়।
পরে নতুন করে ইজারার আহ্বান না করে ওই হাট তিন বছর ধরে খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারি পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ২০০৮ সালের সাত আগস্ট আটজনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
পরে মামলাটি যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। বিচার চলাকালে একজন আসামি মারা যান।
এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে গেলো ২৬ সেপ্টেম্বর বিচারক সাত আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, আত্মসাৎকৃত টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
পিপি আরো বলেন, রায় ঘোষণার সময় অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে তিনি আজ সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেবি
মন্তব্য করুন