• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সেনাবাহিনীর ভয়ে নবজাতকের নাড়ি না কেটেই পালাতে হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:০৫

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে দুইদিন ধরে স্বামী ও ছয় সন্তানের সঙ্গে এক বনে লুকিয়ে ছিলেন দশ মাসের গর্ভবতী হামিদা। এমন সময় শুরু হয় প্রসব বেদনা। তিন ঘণ্টা পর পৃথিবীর আলো বাতাসের মুখ দেখে তার সন্তান। নাড়ি কাটা হয়নি তখনো নবজাতকের। হঠাৎ গুলির শব্দ। কাছাকাছি সেনারা। সন্তানকে নিয়ে পালাতে হয়েছে হামিদাকে।

শেষমেশ বনের মধ্যে নিরাপদ একটি জায়গায় আশ্রয় নেয় তারা। হামিদার স্বামী বাঁশের ফালি দিয়ে সন্তানের নাড়ি কাটেন। মায়ের গর্ভ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় শিশুটি। শিশুটির নাম রাখেন তারা ‘হোসেন সাহেব’।

আগের ছয়টির সঙ্গে একটি বেড়ে সঙ্গে এখন সাত সন্তান। তাদেরকে নিয়ে বাংলাদেশের দিকে রওনা হন হামিদা ও তার স্বামী। দুইদিন হাঁটার পর পৌঁছান নাফ নদীর তীরে।

হামিদার অবস্থা দেখে মায়া হয় বাংলাদেশের এক মাঝির। নিজের নৌকায় সবাইকে এপারে নিয়ে এসে তিনি আশ্রয় দেন তার বাসায়। ওই মাঝির বাড়িতে দুই রাত ছিলেন হামিদারা।
তাদের মানসিক ও শারীরিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই মাঝির বাড়ি থেকে তারা রওনা হন ঘুনধুম সীমান্তে শরণার্থী আশ্রয় কেন্দ্রে।

ওই মাঝি একটি কম্বল দিয়েছিলেন হামিদাকে। তার স্বামী কয়েকটি বাঁশ ও পলিথিন কিনে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার একটা জায়গা করেছেন হামিদা ও সদ্যোজাত সন্তানের জন্য।

৩০ বছর বয়সী হামিদার বাড়ি মংডু জেলার কুয়াচং গ্রামে। তাদের গ্রামটি বাংলাদেশের কক্সবাজারের সীমান্তে নাফ নদী ওপারে একটু ভেতরে।

গেরো ২৫ আগস্ট সেনা ও পুলিশ ফাঁড়িতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর শুরু হয় রাখাইনে সেনা অভিযান।

হামিদা জানিয়েছেন ২ সেপ্টেম্বর তাদের গ্রামে ঢোকে সেনাবাহিনী। সেনারা রকেট লঞ্চার ছোঁড়ে। জ্বালিয়ে দেয় গ্রামটি। গ্রামবাসী পালানো শুরু করলে পেছন থেকে গুলিও ছোঁড়ে।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।

কে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপি’র বড় তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
হঠাৎ ২১ মর্টার শেল বিস্ফোরণ, কাঁপল টেকনাফ
তিনদিনের সফরে সুইডেনের রাজকন্যা ঢাকায়
রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৩ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
X
Fresh