অপহরণের ১৪ মাস পর যুবদল নেতার মরদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অপহরণের ১৪ মাস পর এক যুবদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের কালিছরা কেরাডি পাহাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবদল নেতার নাম শাহাদাত হোসেন ছোটন (৪০)। এর আগে গেলো বছরের ১১ জুলাই অস্ত্রের মুখে ছোটনকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তার স্ত্রী ও ভাই দুই দফা মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামির স্বীকারোক্তি অনুসারে কয়েক দিন আগে তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের চট্টগ্রামের পরিদর্শক মো. শরীফ মরদেহ পুঁতে রাখার স্থানে যান। কিন্তু ওই সময় ভারি বর্ষা থাকায় সুনির্দিষ্ট জায়গা শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি পাহাড়ের মাটি ভেঙে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার মরদেহটির একটা অংশ দেখতে পান ওই এলাকার প্রতিবন্ধী এক যুবক। পরে তিনি ছোটনের মরদেহ সন্দেহে বিষয়টি তার পরিবারকে জানান।
প্রসঙ্গত গেলো বছরের ১১ জুলাই মধ্যরাতে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন ছোটনের ঘরে একদল সন্ত্রাসী হানা দিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন।
তবে তিনি মামলার এজাহারে যেসব আসামির নাম উল্লেখ করেছেন, পুলিশ তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনকে বাদ দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আদালতে আরেকটি মামলা করেন ছোটনের ছোট ভাই মাসুদ।
এ মামলায় জঙ্গল সলিমপুরের ভূমিদস্যু বহু মামলার আসামি মো. মশিউর রহমানসহ আরো ১১ জনকে আসামি করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন পার হলেও মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি ছিল না। এক পর্যায়ে প্রধান আসামি মশিউর গ্রেপ্তার হলেও সে জামিনে ছাড়া পায়। শেষে বাদীপক্ষের তৎপরতায় চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ সুপার মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এরপর গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে এবং সলিমপুরের শাহাদাত মেম্বার, সোহেল, রানা ও কালু নামের আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এদের মধ্যে রানা সম্প্রতি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, জঙ্গল সলিমপুরের কালিছরা কেরাডি পাহাড় এলাকায় তার মরদেহ আছে। জবানবন্দিতে আসামি রানা এ ঘটনায় জড়িত সুনির্দিষ্ট ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে জানায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো অনেকে এ ঘটনায় জড়িত।
জেবি/আরকে
মন্তব্য করুন