• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে হাজারো রোহিঙ্গা

আরটিভি অনলাইন, রিপোর্ট

  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:২৬

সারাবিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় যখন ঈদ আনন্দে মেতে আছে তখন মিয়ানমারের রাখাইনে চলছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। এমনকি ঈদের নামাজও পড়তে দেয়া হয়নি তাদের। এই নির্মমতা থেকে বাঁচতে বান্দরবানের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে হাজারো রোহিঙ্গা। খাদ্যসংকট আর রোদ-বৃষ্টিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

পেছনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উদ্যত গুলি আর সামনে অনিশ্চিত যাত্রা। এ ভাগ্য বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে ক্রমাগত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। চোখের সামনে নৃশংসভাবে খুন হতে দেখেছেন আপনজনদের। জ্বলতে দেখেছেন ভিটেমাটি সহায়সম্বল। এ অবস্থায় প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে আসছেন বাংলাদেশে।

বিশ্বের মুসলমানরা যখন ঈদের আনন্দ উদযাপন করেছেন তখন হতভাগ্য রোহিঙ্গারা সর্বস্ব হারানোর বেদনায় কেঁদে কেঁদে ভাসিয়েছেন বুক।

বান্দরবানে আসা রোহিঙ্গারা জানান, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। স্বজনদেরকে চোখের সামনে হত্যা করা হয়েছে। অনিশ্চিত জীবনকে সঙ্গী করে তারা সীমান্ত পেড়িয়ে এখানে এসেছেন।

গেলো ঈদেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ উদযাপন করছিলেন হতভাগ্য রোহিঙ্গারা। কিন্তু এ বছর নির্মম হত্যাযজ্ঞ কেড়ে নিয়েছে সবকিছু। যে রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করতে পারছে না তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু, আশারতলি ও চাকঢালা সীমান্তের জিরো লাইনে গেলো এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছেন। খাদ্য সংকট ও রোদ-বৃষ্টিতে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।

সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা জানান, পালিয়ে আসার সময় যা খাদ্য নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। তা ফুরিয়ে গেছে। এখন আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধে বিশ্ব বিবেক জেগে উঠবে এবং দেশটির ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগ করবে এমনটাই চাওয়া স্থানীয়দের।

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বান্দরবানে আরও ১ কুকি-চিন সদস্য কারাগারে
কুকি-চিনের আরও ৪ সদস্য কারাগারে
বান্দরবানে ‘সাংগ্রাইং’ উৎসব শুরু
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
X
Fresh