• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মা ভিকটিম সাপোর্টে, মেয়ে সেফ হোমে (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, বগুড়া

  ০৭ আগস্ট ২০১৭, ২০:১২

বগুড়ায় ধর্ষণের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়া শিক্ষার্থীকে সরকারি সেফ হোম এবং তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. এমদাদুল হক এ নির্দেশ দেন।

যদি তারা বাইরে নিরাপদ অনুভব করে, তবে যেকোনো সময় চলে আসতে পারবেন বলেও রায় দেন আদালত।

ওই কিশোরীর কাছে তার ইচ্ছার কথা জানতে চাওয়া হলে কিশোরী আদালতকে বলেন, তিনি রাজশাহীর কোনো কলেজে ভর্তি হয়ে কলেজ হোস্টেলে থাকতে চান।

কলেজ হোস্টেলে থাকা নিরাপদ হবে কিনা বিষয়টি বিবেচনা করে আদালত তাকে রাজশাহী সেফ হোমে রাখার নির্দেশ দেন।

এসময় ওই কিশোরীর মাকে রাজশাহীর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। এই নির্দেশ বগুড়া জেল সুপারের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়।

এর আগে সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান মা-মেয়ে। সেখান থেকে তাদের আদালতে নেয়া হয়।

গেলো ১৭ জুলাই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক(বর্তমানে বহিষ্কৃত) তুফান সরকার। এর ১০ দিন পর ওই কিশোরী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করে বেধড়ক পেটানো হয়।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের ওই ঘটনায় মেয়েটির মা ২৮ জুলাই রাতে তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা এবং স্ত্রীর বড় বোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।

এরইমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামিসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বগুড়ার শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার ও তার বড় ভাই স্থানীয় যুবলীগ নেতা মতিন সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মামলার পর ওই রাতেই তুফান ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে তুফান এবং দুই সহযোগী আলী আজম ওরফে ডিপু ও রূপমকে রোববার তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। আর আতিকুর রহমান নামের একজন শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় তার রিমান্ড চাওয়া হয়নি।

কে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh